মধ্যবিত্তরা না পারেন বলতে, না পারেন লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে। কষ্টে কাটছে তাদের দিন। এমন কিছু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দৈনিক জনতা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আলম। করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের অবস্থা নাজুক। গত ২৬ তারিখ থেকে এক প্রকার অচল বাংলাদেশ। ঘরবন্দী গোটা বাংলাদেশ। বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে অর্থসংকটে পড়েছেন তারা। ইতিমধ্যে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকে। শাহীন আলমেরও এমন কাজ করার জন্য মন কাঁদে।
তিনি জানান, সম্প্রতি অফিস থেকে হাজারীবাগের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন তিনি, এলাকায় আসার সময় দেখেন এক মুরুলি বিক্রেতাকে। রাস্তায় লোকজন না থাকার কারণে মুরুলি বিক্রি করতে পারেননি তিনি। পরিবারের সদস্যদের খাবারের জন্য তিনি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সাহায্য করার আগ্রহটা মুরুলিওয়ালাকে দেখে আরো বেড়ে যায় তার। সিদ্ধান্ত নেয় কিছু একটা করার। সিনিয়র সহকর্মী আতিকুর রহমানের সাথে কথা হয় তার। তার পরামর্শে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন। এগিয়ে আসেন বন্ধু ফাইজুল হক সজল। সহায়তা করেন তার শ্যালক শিশির অর রশিদ। পরে ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মিলন তার বন্ধু আসিফ কে নিয়ে তিনি নিজেই হাজারীবাগ বাজারে গিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, সাবান কিনে আনেন। বাসায় এসে নিজেরাই ব্যাগে ভরে এলাকার দরিদ্র মানুষদের বাসায় গিয়ে পৌঁছে যান। তিনি আরো বলেন, এলাকার খাজা ফার্মেসির ফারুক আহমেদ, রাজু এবং সোহেল এর মাধ্যমে একটি ছোট তালিকা করা হয়। তারপর তালিকা অনুযায়ী বাসায় বাসায় গিয়ে পৌঁছে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী। পরিচয় গোপন করে যা দেয়া হয়-চার কেজি চাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি তেল, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি ডাল, একটা সাবান।
শাহীন আলম বলেন, হাজারীবাগ এলাকার এমন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা অনেক। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে চাইতেও পারেন না। সন্তানেরা স্কুল কলেজে পড়ার কারণে লাইনে দাঁড়াতে পারেন না কোন বাবা। একদিকে চক্ষুলজ্জা অন্যদিকে পেটের জ্বালা। এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করতে চান তিনি। বাসায় গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে চান। বিত্তবানরা সহায়তা করলে এলাকার দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের সহায়তা করা সম্ভব।
শাহীন আলমকে সহায়তা করতে পারেন আপনিও।
যোগাযোগ-
শাহীন আলম-
017317 30443