“নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশে না নিয়ে এলে মানুষ জানতো না সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, কিভাবে মা-বোনরা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এবার পাকিস্তানকে জবাব দেবো যে ৭০ বছর ধরে আপনারা সংখ্যালঘুদের ওপর কেন নির্যাতন চালিয়েছেন?”
জাতীয় যুব নায়কের জন্মদিনে মঞ্চ থেকে উদ্যমী ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। পাকিস্তানকে আক্রমণ করে আগামির বার্তা দিলেন মোদি।
রামকৃষ্ণ মিশনের সদর দফতর বেলুড় মঠ থেকে রবিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, “নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই সিএএ।” এছাড়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা মোচন করতে হবে উদীমানদেরই। যুব দিবসে তরুণ-তরুণীদের প্রতি আহ্বান জানালেন নরেন্দ্র মোদি। দেশ গড়ার কাজটা যে যুব স্বচ্ছ-পবিত্র যুব সম্প্রদায়ের দ্বারাই সম্ভব সেকথাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
সিএএ নিয়ে চারপাশে প্রচুর রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ তুলেছেন মোদি। এ প্রসঙ্গে বলেন, “যাঁরা রাজনীতি করছেন, তাঁরাও জানেন এই আইন কিসের জন্য। কিন্তু দেশে তা নিয়ে ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তার শিকার হচ্ছে তরুণ প্রজন্মও।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এদিনের বার্তায় ফের আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে বিরোধি দল।
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোদিজি ভারতের সংস্কৃতি নষ্ট করেছেন। আবার পার্থবাবু আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গ টেনেও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। উনি ছাত্রদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করছেন বলে তৃণমূল মহাসচিবের ক্ষোভ।
বাম মহম্মদ সেলিম শুধু নরেন্দ্র মোদি নয়, আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বলেন, তাঁরা সরকারি মঞ্চলকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করেন। দিল্লি পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সকলে বিভ্রান্ত করছেন জনগণকে।