ভারতে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শেষ হয়ে ফের শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান।
কেন্দ্র এবং অসম সরকার করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ৮ জুন থেকে উপাসনা-ধর্মীয় স্থানগুলো ফের খোলার অনুমতি দিয়েছে যদিও উত্তর-পূর্বাঞ্চল অসমের বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দিরের দরজা ৮ জুন থেকে খুলবে না। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার জন্যে আগামি ৩০ জুন পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা হবে না।
অসমের কামাখ্যা মন্দিরের ইতিহাসে এই প্রথম বন্ধ হচ্ছে অম্বুবাচী মেলা!
ভক্তদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মন্দিরে জমায়েত হতে দিতে রাজি নন কামাখ্যা মন্দির কর্তৃপক্ষ। সবদিক বিবেচনা করে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ফলে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে না বার্ষিক অম্বুবাচী মেলা।
দেশে লকডাউনের প্রথম পর্বে করোনা সংক্রমণের মাত্রা দেখে অম্বুবাচী মেলা বাতিল করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল যদিও কোথাও একটা ক্ষীণ আশা ছিল। হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বা প্রচুর ভক্তসমাগম না হলেও স্থানীয়দের নিয়ে মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা যাবে।
কিন্তু মহামারির এ সময় কেন্দ্রের নির্দেশ থাকলেও সাবধানতার জন্যে খোলা হচ্ছে না দরজা। তবে অসমের অন্যান্য মন্দিরগুলো খুলবে যথাসময়ে।
এ বছর৭ আষাঢ় ইংরেজি ২২জুন প্রবৃত্তি সকাল ৭ টা ৫৪ মিনিট এবং নিবৃত্তি ২৫ জুন, ১০ আষাঢ় রাত ৮টায়।
অস,এর গুয়াহাটিতে আম্বুবাচী আরম্ভের প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা দেবীর দ্বার বন্ধ রাখা হয় ফলে অম্বুবাচীর সময় দেবী দর্শন নিষিদ্ধ থাকে। চতুর্থ দিন দেবীর স্নান ও পূজা সম্পূর্ণ হওয়ার পর কামাখ্যা মাতার দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশের প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে থাকে এই মেলায়! লক্ষ লক্ষ ভক্তেরা কামাখ্যা মন্দিরের চতুর্দিকে বসে কীর্ত্তন করেন। মন্দিরের বাইরে প্রদীপ ও ধূপকাঠী জ্বালিয়ে দেবীকে প্রণাম করেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, “খুব সামান্য আচরণ বিধি মেনেই মন্দিরে পুজো করা হবে। তবে বাইরের কাউকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পুরোহিত ও মন্দির কর্তৃপক্ষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।”