আগরতলা: গত কিছুদিন ধরে ত্রিপুরা রাজ্যের (tripura) রাজধানী আগরতলা (agartala) এবং শহরতলী এলাকায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তেমনি এই সব ঘটনা বন্ধ করে শহরের পরিস্থিতিকে ভালো করে তোলার জন্য পুলিশের উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
অবশেষে এই ঘটনা গুলিতে রাশ টানতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ। বিশেষ করে সদর মহকুমার sdpo হিসেবে অজয় কুমার দাস দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুত সাফল্য আসতে শুরু করেছে।
এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে রাজ্যের (tripura) পাশাপাশি বাংলাদেশের (bangladesh) একটি চোর চক্র জড়িত রয়েছে বলে অনেকের অভিমত। তার সত্যতা পাওয়া গেল। বাংলাদেশের (bangladesh) দুই কুখ্যাত চোরকে জালে তোলতে সক্ষম হলো পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব আগরতলা (agartala) থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন সদর মহকুমার sdpo অজয় কুমার দাস।
এই দুই চোর আটকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বুধবার গভীর রাত আড়াইটা নাগাদ বিট পুলিশ যখন রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর বাইকে করে টহল দিচ্ছিল তখন চন্দ্রপুর এলাকায় তাদের নজরে আসে দুই সন্দেহ ভাজন যুবককে।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের কাছে গিয়ে পরিচয় ও গভীর রাতে ঘোরাফেরার কারণ জানতে চায়। তখন তারা ঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারছিল না। তাদের কথাবার্তা এবং আচার-আচরণে পুলিশের সন্দেহ হয়।
তখন তাদেরকে রাজধানীর পূর্ব আগরতলা (agartala) থানা নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাদের শরীর তল্লাশি করে কিছু সরঞ্জাম পাওয়া যায়, যেগুলি চুরি করার কাজে ব্যবহার করে চোরের দল।
সেইসঙ্গে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালালে এক সময় পুলিশের কাছে তাদের আসল পরিচয় জানায়। তাদের নাম যথাক্রমে জায়েদ হাসান রাকিব, তার বাড়ি বাংলাদেশের (bangladesh) ফেনী এলাকায়। অপর জনের নাম মোঃ সুমন শেখ, তার বাড়ি বাগেরহাট জেলায়।
তারা আসাম (assam)হয়ে ত্রিপুরা (tripura) রাজ্যে প্রবেশ করেছে এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য এখানে চুরি করা বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এসডিপিও আরো জানান এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা খুব দ্রুত বের করা সম্ভব হবে।
সেই সঙ্গে শহরবাসীর প্রতি তার আহ্বান সকলের যেন পুলিশের উপর ভরসা রাখেন। পুলিশ অপরাধ দমনে সক্ষম হবে।