পূর্ত দফতরের কাজ অনুমোদনে পদ্ধতিগত অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান সিপিএম বিধায়ক বাদল চৌধুরীকে তলব করল ভিজিল্যান্স কমিটি।
শুধু তাই নয়, পূর্ত দফতরের তদানীন্তন ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ সুনীল ভৌমিককেও ডেকে পাঠিয়েছিল ভিজিল্যান্স। তিনি হাজিরা দিয়েছেন ঠিকই, তবে তাঁর বক্তব্যে ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা সন্তুষ্ট নন ফলে আবারও তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
ত্রিপুরায় ২০০৮-২০০৯ সালের অর্থবছরে পূর্ত দফতরে ৮০০ কোটি টাকার কাজ অনুমোদনে পদ্ধতিগত অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের তদন্ত করতেই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান সিপিএম বিধায়ক বাদল চৌধুরী এবং ত্রিপুরা সরকারের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ সুনীল ভৌমিককে সমন পাঠিয়েছে ভিজিল্যান্স।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক বাদল চৌধুরীর এক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য, ‘ভিজিল্যান্সের একটি চিঠি পেয়েছি। এতে, ভিজিল্যান্স দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আপাতত ভিজিল্যান্সের আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। কারণ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আগরতলার বাইরে রয়েছি’।
তাঁর কথায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী ক্ষেত্র ছেড়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া শারীরিক অবস্থাও ভালো নয় তাঁর। ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে তাদের সঙ্গে দেখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক বাদল চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে ভিজিল্যান্স যেতে বলছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাছাড়া কারণ না জেনে যাওয়াও সম্ভব নয়। ভিজিল্যান্স আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে কেন ডাকা হচ্ছে তার কারণ অবশ্যই তাদের জানাতে হবে, সেই হিসেবে আমাকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। এমনিতেই ডাকলে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই পরবর্তী সময়ে দিন তারিখ স্থির করতে বলেছি’। জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান সিপিএম বিধায়ক বাদল চৌধুরী।