আগরতলা: চোর ডাকাতের উৎপাত বেড়েছে ত্রিপুরায় (tripura)। আগরতলাতেও (Agartala) এই ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষ নানা প্রমাণ তুলে দেওয়ার পরও পুলিশ চোরকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। তবে তা নিয়ে কোন অনুশোচনা নেই তাদের। উল্টে ব্যর্থতা ডাকতে এক পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্য, পুলিশ পারলো না সাধারণ মানুষ পারলো এটা বড় বিষয় নয়, আল্টিমেটলি চোর তো ধরা পরলো এটা বড় বিষয়।
এরাই হলো ত্রিপুরার (tripura) সাহসী পুলিশ বাহিনীর সদস্য। গত কিছুদিন আগে রাজধানী আগরতলার (Agartala) অন্যতম ব্যস্ত রামনগরের(Ramnagar) এক নম্বর রোড এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে চুরের দল সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকার একাধিক সিসি ক্যামেরায় ঘটনাটি রেকর্ড হয়। সাধারণ মানুষের তরফে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে এই সকল তথ্য প্রমাণাদি তোলে দেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ চোরের টিকিট নাগাল পায়নি।
তবে চুরি যাওয়া ফ্ল্যাটের মালিক পুলিশের উপর ভরসা করে নিশ্চিন্তে বসে না থেকে নিজের মতো করে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্যান্য সাধারণ মানুষের সহায়তা নিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার সকালে এই চোর চক্রের এক সদস্যকেধরতে সক্ষম হন। তাকে রাজধানীর (Agartala) চন্দ্রপুর (Chandrapur) এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হন তিনি।
চোরকে ধরে এনেছেন শুনে পাড়ার লোকজন এসে উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে বেঁধে রাখেন। তখন চোর নিজেই স্বীকার করে যে, এই চুরি কান্ডের সঙ্গে সে জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কয়েকজন চোরও চুরির সময় তার সঙ্গে ছিল।
চুরি করা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নিয়েছে। এর কিছুটা অংশ তার বাড়িতে রয়েছে বলেও জানিয়েছে। চোর আটক প্রসঙ্গে বাসুদেব চক্রবর্তীর বক্তব্য, তিনি একাধিক জায়গা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ছিলেন।
এমনকি তাদের সুবিধার জন্য সংগৃহীত ভিডিও গুলি থেকে চোরেদের চেহারা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এমন স্টিল ছবি তৈরী করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে কিছু আসেনি।
অবশেষে তিনি নিজে এক চোরকে ধরতে সক্ষম হলেন। এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার যে সরকার পুলিশের জন্য এত কিছু বরাদ্দ করার পরও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। পুলিশের কাজ করতে হচ্ছে জনতাকে।
চোরকে ধরে আনার পর এলাকাবাসী পশ্চিম আগরতলা (west agartala) থানায় খবর দেন। চোর ধরা পড়েছে খবর পেয়ে পুলিশ আর কালবিলম্ব না করে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। তখন উপস্থিত সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, পুলিশ চোরকে ধরতে ব্যর্থ হলেও সাধারণ মানুষ কি করে চোরকে ধরে ফেললেন।
এই প্রশ্নে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় এক পুলিশ আধিকারিক। মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে আত্মস্থ করে পুলিশ আধিকারিক এর বক্তব্য, পুলিশ পারলো না সাধারণ মানুষ পারলো এটা বড় বিষয় নয়।
আল্টিমেটলি চোর তো ধরা পরলো এটা বড় বিষয়। যেভাবে রাজধানী আগরতলা (Agartala) সহ ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন সাধারন মানুষ। উল্টে পুলিশের উদাসীন ভূমিকা দুশ্চিন্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে tripura জনতার।