আগরতলা: আন্তর্জাতিক সীমান্তে অপরাধমূলক ঘটনা নতুন নয়।পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভারত বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন পরপর রাজ্যের তিন দিক দিয়ে ঘেরা ভারত বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়।
এই সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অনেক সময় মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। এতে করে দু’দেশের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
পাচারকারীদের মধ্যে ত্রিপুরার (tripura) সিপাহীজলা (sipahi jola) জেলার অন্তর্গত রহিমপুর (rahimpur) ভারত বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এমনই একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,রহিমপুর সীমান্তের গেট নাম্বার ১৬৬ এবং পিলার নাম্বার ২০৫৮ এবং বাংলাদেশ (bangladesh) সীমান্ত লাগোয়া নারায়ণপুর দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় গভীর রাতে পাচারকারীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা গেলে বাংলাদেশি (bangladeshi) পাচারকারীরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মারতে থাকে।
তখন ভারতীয় ভূখণ্ডে এক বাংলাদেশীকে পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আটক করে বিএসএফ (bsf) ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
এলাকা সূত্রে খবর আসে রাতে সংঘর্ষের ঘটনা হয়ে যাওয়া ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক বাংলাদেশী (bangladesh) যুবক জিরো পয়েন্টের বাংলাদেশ ভূখণ্ডের আশাবাড়ী বিওপির নিকট।
জানা যায় আহত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া বাংলাদেশি ব্যক্তিটিকে বাংলাদেশের পাচারকারীরা টেনে হেঁচড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের বাংলাদেশি গ্রামবাসীরা স্থানান্তর করেছে।
এই ঘটনাটি এলাকায় চাউর হতেই ভারত এবং বাংলাদেশের (bangladesh) পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীরা ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।পাশাপাশি ভোর হতেই দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
জানানো হয় দু’দেশের উর্দ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। তারপর সকাল ১১ ঘটিকায় দু’দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে পতাকা মিটিং বসার সিদ্ধান্ত হয়।
সেই মোতাবেক দু দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা মিটিং চলাকালীন সময়ে গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া বাংলাদেশি যুবকটির মৃত্যু ঘটে। তখন বাংলাদেশ সূত্রে তাকে সনাক্ত করা হয়। মৃত্যুর আগে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে নিয়ে দু দেশের প্রশাসনিক দের মধ্যে চলে এক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ঘটনা।
কেউ তাকে মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি দেখে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। ঘটনাস্থল এলাকার গ্রামবাসীরা বাংলাদেশ (bangladesh) থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড চিকিৎসা করতে দেয়নি।
বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বলেন,ব্যক্তিটি আহত অবস্থায় ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা করানো যাবেনা’।
তাছাড়া গ্রামবাসীর জবানবন্দিতে বাংলাদেশি ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও বিজিবি বাংলাদেশি অস্বীকার করে এক অমানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছেন। এই ঘটনায় ভারত বাংলা জিরো পয়েন্ট সীমান্ত গ্রামবাসীদের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের প্রতি ছিঃ ছিঃ রব তৈরি হয়েছে।
এছাড়া গ্রামবাসীরা দায়ী করছে যে,বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলার শশীদল বিজিবির ৬৬নং ব্যাটেলিয়ান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বাংলাদেশি নাগরিকের একটি তাজা প্রাণ চলে গেল।
ঘটনায় উল্লেখ্য যে, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পর আহত অবস্থায় পরে থাকা লোকটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ভারত বাংলা (bangla) গ্রামবাসীর প্রশ্ন, কেন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মৃত্যুর আগে বাংলাদেশি ব্যক্তিটিকে সনাক্ত করতে পারলো না?
বাংলাদেশের এই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যেন জনসম্মুক্ষে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে গেল বলে বর্ণনা করেন এলাকাবাসী। মৃত্যুর পর ব্যক্তিটিকে শহিদুলস্থিত ফুফু এসে শনাক্ত করে।
জানা যায় তার বাড়ি বাংলাদেশ (bangladesh) রাজশাহী (rajshahi) জেলার নাওগাঁও (naogaon) এলাকায়।তার নাম তুষার আহমেদ(৩৬)। তুষার কুমিল্লা জেলার শশীদল এলাকায় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয় আর্থিক লেনদেন কে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষের ঘটনার মধ্য দিয়েই শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে চিরবিদায় হতে হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
জানা যায় তুষারের পরিবার তুষারের মৃত্যুকে খুন বলে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের নিকট একটি মামলা দায়ের করেন।এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ প্রশাসন তুষার এর মৃত্যুর ঘটনার কিনারা কতটুকু খুঁজে পায়।
নাকি বাংলাদেশ প্রশাসনের আরো কয়েকটি ঘটনার মতো ফাইল চাপা পড়ে যায়। যতটুকু জানা যায় বাংলাদেশ প্রশাসনের মাধ্যমে মৃত্যু হওয়া তুষার আহমেদকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।