আগরতলা: ২০২৩ সালের শুরুতেই tripuraর পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন নতুন করে ভোটার তালিকার সংশোধিত করা হবে। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার agartalaয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারী কিরণ গিত্য এছাড়াও নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত জাতীয় এবং আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা।
দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই বৈঠক। উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনীয় আধিকারিক। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্য জানান, পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধিত হবে।
৯ নভেম্বর থেকে এই তালিকার সংশোধনের কাজ শুরু হবে। তাই সর্ব দলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিনের এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন এই পরামর্শ গুলো লিখে রেখেছে। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১০০ শতাংশ ছবিসহ ভোটার তালিকা, আধা কার্ড সংযুক্ত ভোটার তালিকা করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
শাসক দল বিজেপির তরফে এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলাই গোস্বামী। বৈঠক শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফে ৩৬ হাজার ভুয়া ভোটারের নাম দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন তাদের চিহ্নিত করে রাখে। নির্বাচনের সময় দেখা যায় এই ভোটারদের মধ্য থেকে এক শতাংশ লোকও ভোট দিতে আসেনি। এ থেকে প্রমাণিত হয় এরা সকলেই জাল ভোটার ছিল।
ভোটার তালিকা যাতে নির্ভুল ও স্বচ্ছ হয় এই দাবি জানানো হয়েছে এদিন বলে জানান তিনি। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ সাহা। তিনি বলেন তাদের দলের তরফে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে শাসক দল অপ্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নাম তালিকায় তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই সমস্ত অনৈতিক কাজ যাতে না হয় এদিকে নির্বাচন কমিশনের কড়া দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সিপিআইএম দলের তরফে উপস্থিত ছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা জানিয়েছেন যারা ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজে যুক্ত তারাও নিরাপদ নয়।
বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপর আক্রমণের ঘটনার সংঘটিত হচ্ছে। ভোট দেওয়া তো পরের বিষয়। তাই তাদের যেন পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় কমিশনের তরফে।