আগরতলা: আগামি দিনের রাজনৈতিক সংগ্রামে tripura রাজ্য কৃষকসভার প্রত্যেকটি ইউনিট অধিকার রক্ষায় প্রতি ইঞ্চি জমিতে বিশাল শক্তি হিসেবে ভোটের ময়দানে থাকবে।
কৃষকসভার tripura রাজ্য কমিটির অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সারা ভারত কৃষকসভার tripura রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর।
Agartala টাউন হলে রাজ্য কৃষকসভার একটি সাংগঠনিক প্রতিনিধি কনভেনশনে যে সমস্ত আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করে কথা গুলি বলেন।
তিনি আরো বলেন কনভেনশনে রাজ্যের কৃষকদের এক ভয়াবহ অবস্থা উঠে এসেছে। জলসেচের প্রায় ৮০ শতাংশ মেশিন খারাপ ।এই জন্যে ৬০শতাংশ জমিতে চাষ হয়নি।
ফলে যে ফসল উঠেছে সেটাই সরকারের কিনে নেওয়া উচিত বলে তিনি দাবী করেন। তা নাহলে পুরো ধানের বাজার ফোড়েদের হাতে চলে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা বলেও মন্তব্য করেন। কোনো ধান কেনার শেড না থাকায় উপজাতি জুমিয়ারা ধান বিক্রি করতে পারছেন না।
রাবারের দাম পড়ে যাবার ফলে ও বোধজং নগরীতে ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় রাবার চাষীরা। সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন এই কঠিন সময়েও রাজ্য কৃষকসভায় প্রায় ২০ হাজার সদস্য বেড়ে আপাতত সদস্য সংখ্যা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৫জন।
পাশাপাশি ৯০ শতাংশ ইউনিট এর সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন শহর আঞ্চলে ছাদ কৃষি বেড়েছে। তিনি তাদেরও সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
আসন্ন নির্বাচনে সারা ভারত কৃষকসভার সদস্যরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ৮৩৩টি কৃষকসভার ইউনিট সারা tripura রাজ্যে রয়েছে। আসন্ন রাজনৈতিক সংগ্রামে তারা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।
কনভেনশনে ৪৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলে। রাজ্যে সার ,বীজ, জলসেচের সংকটে অন্নদাতাদের ঘরেই এখন খাবার নেই বলে অভিযোগ করেছেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বিজেপির দুর্বৃত্তদের হামলা।
প্রচুর খেতের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে বলে পবিত্র কর অভিযোগ করেন। সব কিছু দেখে প্রশাসন নিরব। পবিত্র কর বেশ কিছু কর্মসূচী ঘোষনা করে জানান যে আগামী ২৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রাজভবন অভিযান হবে।
মূলতঃ কৃষকদের ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন প্রণয়ন,বিদ্যুৎ বিল বাতিল করা,কৃষক আন্দোলনের সময় যে ৪৫০০০ মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার, লখিমপুর খেরির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দেয়া ও মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে।
Agartalaয় পশ্চিম জেলা ও বিশালগড় এই মিছিলে অংশ নেবে ।একই দিনে অন্যান্য মহকুমাতেও এই ডেপুটেশন দেওয়া হবে। মহকুমা ম্যাজিসেট্রটের মাধ্যমে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য ।
আগামী ১৩ নভেম্বর Agartala টাউন হলে শ্রমিক-কৃষক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে ১৪ দফা দাবিতে ১৫ নভেম্বর পালিত হবে বিরসা মুন্ডা দিবসে, ৩৫ তম সর্ব ভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সারা ভারত কৃষকসভার সমস্ত অফিসে পতাকা উত্তোলন করা হবে যা নামানো হবে সম্মেলনের শেষ দিন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কৃষকসভার সভাপতি অঘোর দেববর্মা, রাজ্য কৃষকসভার সহ সম্পাদক রতন দাস ও জেলা সম্পাদক মধুসূদন দাস। সারা ভারত কৃষকসভা র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি।