
ত্রিপুরা রাজ্যের টেট পাস করা বেকার যুবক-যুবতীরা হন্যে হয়ে জন্য ঘুরছে সরকারী চাকরীর জন্য। একের পর এক ডেপুটেশন, ধরনা, বিক্ষোভ কোন কিছুই সমাধানসূত্র বের করতে পারছে না। একাধিকবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সকাশে বিষয়টি নিয়ে গেছেন তাঁরা, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শনিবার ফের একবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের আগরতলার কদমতলা এলাকার বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল, অল ত্রিপুরা টেট পাসড ক্যান্ডিডেটস গ্রুপ ২০২১।
তাদের একটাই দাবি গোটা রাজ্যে যতজন টেট উত্তীর্ণ বেকার রয়েছে তাদের প্রত্যেককে একসঙ্গে অতিসত্বর শিক্ষকতায় নিয়োগ করতে হবে। তাদের শংসাপত্র সঠিক সময়ে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। অভিযোগ রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী আধিকারিকরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তাদের, কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি এখনো পর্যন্ত পালন করা হয়নি। উল্টে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে টেট উত্তীর্ণ বেকারের সংখ্যা।
টেট পাস যুবক যুবতীরা জানান রাজ্য সরকার মোট যতগুলি শূন্য পদের কথা বলেছে তার চাইতেও অধিক শূন্যপদ এই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে রয়েছে। এই সব টেট পাশ করা বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়োগের পরেও আরো বহু সংখ্যক পদ শূন্য থাকবে বলে দাবি করেন তারা। শনিবার সকাল থেকে তাদের আন্দোলন শুরু হয় একটা সময় পর শিক্ষা মন্ত্রী তাদের সাথে সাক্ষাতের কথা বলেন এবং সেই মত বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে এক প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখাও করেন তার বাসভবনে। সেখান থেকে ফিরে এসে জানান রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছে এবং আগামী ১৭ মে থেকে তাদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজটিও শুরু করে দেবে টি আর বি টি।
শুধু তাই নয় শিক্ষা মন্ত্রী তাদের এও জানিয়েছেন আর্থিক অনুমোদন পেলে আগামীদিনে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতেও বিষয়টি রয়েছে। খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকারে মিলিত হবার আশা ব্যক্ত করেছেন টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীরা। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখন পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেননি বলেও জানান তারা।