ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সম্মানীয় বিপ্লব কুমার দেব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক আমন্ত্রণমূলক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ভারতবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ত্রিপুরা ঘুরে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ত্রিপুরার ৩৭ লক্ষ জনগণ আপনাদের সাদর অভ্যর্থনা জানাতে এবং পথপ্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীর বহুল প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও সেগুলোকে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশবাসীকে থেমে থাকলে চলবে না। ফলে এদিন দেশের অন্তত ১৫টি পর্যটন ক্ষেত্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি।
তবে ভারত এবং রাজ্য সরকারের যৌথ পরিকল্পনায় দেশের জলসংকট, চিকিৎসাক্ষেত্রে উন্নতির জন্যে দেশের যুবক-যুবতীদের অনুপ্রাণিত করা প্রভৃতি বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি শুধু আলোচনাই নয়, তাকে বাস্তব রূপ দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে পর্যটন ক্ষেত্র, রয়েছে প্রচুর সম্পদ। কেবল প্রয়োজন দেখার মতো চোখের। আর সে দৃষ্টিনন্দন চোখ রয়েছে মোদির। তাই তিনি ভাষণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী ফের সকল জনসাধারণকে ত্রিপুরা ঘুরে যাবার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ত্রিপুরেশ্বরী ত্রিপুরা সর্বদাই প্রস্তুত অতিথিদের আমন্ত্রণের জন্যে।
তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্য ত্রিপুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং প্রাচীন স্থাপত্যে ভরপুর।”
মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক এই বার্তায় বারবার প্রকাশ পাচ্ছে, ভারতের সংস্কৃতি। যেখানে বলা হয়েছে, “অতিথি দেব ভব।”
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ত্রিপুরাবিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরা রাজ্যকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে উপযুক্ত করে তোলার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শুধু রাজ্যকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুললেই কাজ শেষ হয়ে যায় না, এর জন্যে প্রয়োজন উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই সব দিক দিয়ে রাজ্যকে পরিপূর্ণভাবে গড়ার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর ফলশ্রুতিতে বিগত ১২ আগস্ট তারিখে রাজ্যের পুলিশের বিট কনস্টেবলদের মধ্যে ২৬১ মোটরসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।