ত্রিপুরার ত্রাণ শিবিরে বসবাস করা বাস্তুচ্যুত ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য ত্রিপুরা সরকার ৮টি জেলার মোট ১৮ টি স্থান চিহ্নিত করেছে।
বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি আরও বলেন যে মোট ৩০০ থেকে ৩৫০ টি ব্রু পরিবারকে এক জায়গায় পুনর্বাসিত করা হবে।
তদুপরি, শরণার্থীদের জন্যে সরকার বিদ্যালয় স্থাপন করবে। তাঁদের সরবরাহ করা হবে কৃষিজমি।
রতনবাবু যোগ করেন,
“রাজ্যের ৮ জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্রুদের পুনর্বাসনের জন্য ১৮ টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন। এখন ওই জমি তাদের স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য উপযুক্ত কিনা তা সরকার খতিয়ে দেখবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে ত্রিপুরায় মোট দু-যুগের উপর অর্থাৎ ২৫ বছরের ব্রু সমস্যার সমাধান হলো। নয়া দিল্লির বুকে আরো এক নতুন ইতিহাসের সূচনা হয়েছে।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, আগামি দিনগুলো নির্বঘ্নে ব্রু শরণার্থীরা ত্রিপুরায় বাস করবেন।
প্রায় ৩০ হাজার এমন শরণার্থীকে স্থান দেবে ত্রিপুরা।
এরজন্য মোট ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় স্থানান্তরিত হওয়া শরণার্থীরা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্রু শরণার্থীদের বসবাসের স্থান নিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বিতর্ক জারি ছিল।
এদিন ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এবার থেকে মিজোরাম নয় ত্রিপুরাতে থাকবেন এই শরণার্থীরা। ফলে ৩০ হাজার ব্রু উপজাতি মানুষের নাম ত্রিপুরার ভোটার লিস্টে স্থান পেতে চলেছে।