আগরতলা: নির্ধারিত সূচি অনুসারে ২০২৩সালের শুরুর দিকেই ত্রিপুরা Tripura বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনো এর দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে।
শাসক দলের পাশাপাশি বসে নেই বিরোধী দলগুলি। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার আগরতলা agartala এক বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করে Tripura রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআই(এম)।
রাজধানী Agartala র আস্তাবল ময়দানে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
দলের Tripura রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দল নেতা সিপিআইএম দলের পলিট বুরো সদস্য মানিক সরকার, উপজাতি নেতা অঘোর দেববর্মাসহ অন্যান্যরা।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ভারতের বর্তমান সরকার কালা, কানে শুনতে পায় না। তাই এই সরকারকে জাগানোর জন্য এদিন Agartala য় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভাকে বানচাল করার জন্য অনেক চেষ্টা করে তারা, কিন্তু ব্যার্থ হয়েছে।
সারাদেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করা হলেও মোদির নিজের রাজ্য gujrat নির্বাচন ঘোষণা করা হয়নি। এর জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকেও প্রভাবিত করেছে।
সাধারণ মানুষদের প্রভাবিত করার জন্য নানা ঘোষণা দেবে। কিন্তু নির্বাচনের ঘোষণা দিলে এই সব টোপ দিতে পারবে না।
তারা ভোট কেনার জন্য এই সব টোপ দিচ্ছে। Tripura রাজ্যেও এসে এসব টোপ দেবে। তাই Tripura র সাধারণ মানুষদেরকে তাদের প্রলোভন থেকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার লুটেরাদের, তারা মানুষের সম্পদ লুট করে তাদের ধনী বন্ধুদের দিয়ে দিচ্ছে। এর পর ভোটের জন্য তারা বন্ধুদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ভোটারদের কেনার চেষ্টা করে।
হারলেও বিজেপি এখন বিভিন্ন রাজ্যের সরকার গঠন করছে। কারণ তারা বিরোধী দলের বিধায়কদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। এটা সম্ভব না হলে ই ডি, সি বি আই ইত্যাদি তদন্তকারী সংস্থারদেরকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিরোধী নেতৃত্বকে জেলে বন্দী করে দেওয়া হচ্ছে।
এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা সরকার গঠন করেছে। এখন তারা তার চেষ্টা করতে Tripura রাজ্যের প্রয়োগ করার, তারা রাজ্যের মানুষদেরকে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা বাধিয়ে হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছে। যারা তাদের অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে তাদেরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। গত ১৫দিনে ভারতে নতুন করে ৩শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে।
এর অর্থ হচ্ছে ৪কোটি বেকার যুবক যুবতী তৈরী হয়েছে দেশে। সারা বিশ্বের মধ্যে অপুষ্টি জনিত রোগীর সংখ্যা ভারতে বেড়েছে। কিন্তু দেশের বর্তমান সরকার তা মানতে নারাজ, তবে তারা নিজেরাও কোন তথ্য সরবরাহ করছেন।
কোভিডকালিন সময়ে ভারতে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ ভারতে। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্টের তরফে সাধারণ মানুষদের প্রতি আবেদন করা হচ্ছে tripura থেকে এবং ভারত থেকে বিজেপিকে ক্ষমতা রাখার জন্য বলে জানান তিনি।
একই ভাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে Tripura রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দল নেতা সিপিআইএম দলের পলিট বুরো সদস্য মানিক সরকারও বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।