ত্রিপুরেশ্বরী ত্রিপুরায় ধর্মের নামে মন্দিরে পশুবলির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। বন্ধ করা হয়েছে ধর্মের নামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আদেশ দিয়েছেন, রাজ্যের কোনও মন্দিরে কখনো, কোন রকম বলি দেওয়া যাবে না। এমনকি স্বয়ং রাজ্য সরকার চাইলেও বলি দিতে পারবে না।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন।
জেলাশাসক অফিসের সিনিয়র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নান্টুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় যে সমস্ত মন্দির রয়েছে, সেখানে রবিবার থেকেই আদালতের আদেশ কার্যকরী করা হয়েছে।
এছাড়া, হাতে গোনা দিন বাকি দুর্গা পূজার। তার পূর্বেই সমস্ত পশ্চিম জেলার মন্দিরে বলি প্রথার নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস বোর্ড টাঙানো হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, রাজ্যের বহু মন্দির রয়েছে, যেখানে বলির জন্যে সরকার নিজে থেকেই খরচ যোগান ধরে। সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ধর্মের নামে নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার পক্ষে মামলাটি করেছিলেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ সুভাষ ভট্টাচার্য। ডিভিশন বেঞ্চে তিনদিন ধরে সেই মামলার শুনানি চলে। অবশেষে শুক্রবার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মুক্তমনা সুভাষ ভট্টাচার্য বলেছেন ‘বেদ বা উপনিষদে কোথাও লেখা নেই, বলি না হলে হিন্দু ধর্ম পালনে ক্ষতি হবে।’ তাঁর প্রতিটি যুক্তি মেনে নিয়েছে আদালত।