ধর্ম তো ধর্ম নয় ওঁদের কাছে। অখণ্ড মানবতাবাদের লেজ ধরতে না পেরে ধর্মকে বানাচ্ছে জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ার!
ধর্মীয় আশ্রম খুলে ড্রাগসের রমরমা ব্যবসা চালানো এক সাধু সোমবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
তিনি বিগত ৩ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। শেষে নিজে এসে ধরা দিয়েছেন।
ঘটনাটি ত্রিপুরার সিপাহিজলার বিশালগড়ের।
মানস দাস নামক ওই সাধু বিশালগড় শীতলটিলা নামক স্থানে নিজের ঘরের সামনে একটি আশ্রম খুলে দীর্ঘদিন ধরে অসাধু; অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
দেখা গেছে তাঁর আশ্রমে হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীর ছবি ঝুলানো থাকে যদিও ভিতরে থাকে ফেন্সিডিল, ইয়াবা নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ব্রাউন সুগার, হেরোইন প্রভৃতি মারণ দ্রব্য।
জানা গেছে, ভক্তের রূপে ড্রাগস সেবকদের নিয়মিত আনাগোনা চলতো এই উক্ত আশ্রমে।
বিগত ৩১ ডিসেম্বর তারিখে পুলিশের হঠাৎ অভিযানে ৬ জনকে জালে ফেলা হয়েছে।
পুলিশের জানানো মতে, এরা প্রত্যেকে ড্রাগস কারবারের সঙ্গে জড়িত। অভিযানে পুলিশ বেশ কিছু ড্রাগসও উদ্ধার করে আশ্রম থেকে।
কিন্তু অভিযানের সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান মানস দাস।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গতকাল নিজে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
সরকারি আইনজীবী জ্যোতিপ্ৰকাশ সাহা বলেন, অভিযুক্তের কৌঁসুলি জামিনের আবেদন করেছিলেন যদিও আদালতের পক্ষ থেকে তা মঞ্জুর করা হয়নি। এবং তার পরিবর্তে বিড়াল তপস্বী মানসকে ১৪ দিনের জন্যে কারাগারে প্রেরণ করে।