আগরতলা: টাকা দামের ক্যামেরা ও ক্যামেরার সামগ্রী ফিরিয়ে সততার পরিচয় দিয়ে সকলের ভূয়সী প্রশংসা কুড়ালেন agartala র এক অটো চালক সমীর দাস।
তাই পূর্ব agartalaর থানার তরফে তাকে সংবর্ধিত করা হয়। এই অটোচালকের প্রশংসা করলেন খোদ tripura মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। Tripura রাজ্যের রাজধানী agartala র রাস্তায় চলা হাজারো অটো চালকের মধ্যে একজন হলেন সমীর দাস।
টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া তার কাজ। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও রাজধানীর আমতলী এলাকা থেকে এক যাত্রী তার অটোতে উঠে এবং চন্দ্রপুর এলাকার আন্তরাজ্য বাস টার্মিনালে তাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলে।
যথারীতি তিনি তাকে বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেন। চন্দ্রপুর থেকে ফেরার পথে হঠাৎ চেয়ে দেখেন তার অটোতে একটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজধানীর পূর্ব agartala থানায় এসে ব্যগ জমা দেন। থানার অফিসাররা ব্যক্তি খুলে দেখেন এর মধ্যে মূল্যবান ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যেই এক ব্যক্তি পূর্ব আগরতলা থানায় ছোটে আসেন তার ব্যাগ খোয়া যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে।
তিনি এসে দেখেন অটোচালক ব্যাগ থানায় জমা করেছেন। তিনি জানান গৌহাটি থেকে tripura বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিলেন কাজে। এদিন বাসে করে agartala থেকে গৌহাটি ফিরছিলেন।
বাসে ওঠার পর দেখেন তার ক্যামেরার ব্যাগ নেই তাই তিনি অভিযোগ জানাতে এসেছেন। ব্যাগ ফিরে পেয়ে অটোচালককে ধন্যবাদ জানান তিনি। অপর দিকে অটোচালক সমীর দাস জানান হঠাৎ করে ব্যাগ দেখতে পেয়ে তিনি থানায় জমা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন, তাই এখানে এনে জমা করেছেন।
অটো চালক সমীর দাসের সততার পরিচয় পেয়ে পূর্ব agartala থানার ওসি রানা চ্যাটার্জি তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন সমীর দাসের মত সৎ লোক এখনো সমাজে রয়েছে।
যার জন্য লাখ টাকা দামের ক্যামেরা ফিরে পেয়েছেন হারানো ব্যক্তি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, আমাদের রাজ্য আয়তনে ছোট হলেও রাজ্যবাসীর মন মহাসমুদ্রের থেকেও সুবিশাল !
তার প্রমাণ খোঁজতে গেলে আমাদের চিনতে হবে সমীর এর মতো তরুণকে। পেশায় অটো চালক “সমীর দাস” অটো চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। আজ আমতলী থেকে চন্দ্রপুর যাওয়ার জন্য বহিঃ রাজ্য আসাম থেকে আগত এক যুবক সমীরের অটোতে উঠেন।
কিন্তু মূল্যবান ক্যামেরা সহ প্রায় লক্ষ টাকার সামগ্রী তাঁর অটোতেই রেখে যান। এই সামগ্রীর প্রতি সমীরের লক্ষ্যে আসা মাত্র এইগুলো নিকটস্থ পূর্ব থানায় জমা করে সততার নজীর স্থাপন করেন।
পরবর্তী সময়ে বহির রাজ্যের যুবক তাঁর হারিয়ে যাওয়া এই সামগ্রীগুলি সমীরের হাত ধরে ফিরে পেয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত হন। সমীরের মতো ব্যক্তিদের সততার দৃষ্টান্ত আমাদের ছোট্ট পার্বত্য রাজ্য tripuraর নাম আরো বেশি করে উজ্জ্বলময় করে তুলার ক্ষেত্রে মূল্যবান ভূমিকা পালন করে। অনেক বেশি ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল সমীরের প্রতি।