ত্রিপুরায় রাবার খেত অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। কিন্তু এই রাবার খেত এবার যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছে বিপ্লব দেব সরকারকে।
চিন্তার কারণঃ ড্রাগস এবং বেদখল।
রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা সোমবার দাবি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার ২১,০১৯ একর সরকারি মাটিতে বেদখল হয়ে গেছে এবং একে রাবার খেতের জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কেরালার পর ত্রিপুরাই হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ রাবার উৎপাদন করা রাজ্য। প্রায় ৯০,০০০ হেক্টর জমিতে রাবারের খেত করা হয়।
ত্রিপুরা বছরে প্রায় ৭০,০০০ টন রাবার উৎপাদন করে।
মন্ত্রী দেববর্মার দাবি, পূর্বের বামপন্থী সরকার এই বেদখলে উৎসাহ যুগিয়েছে।
এই কথার পাশাপাশি দেববর্মা হয়তো ত্রিপুরা বিধানসভা সদস্যদের জানাতে ভুলে গেছেন যে, বহু রাবার চাষি উক্ত বেদখলকৃত ভূমিতে গাঁজার চাষ করে আসছে।
ড্রাগস প্রতিরোধি অভিযানে নিয়োজিত এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলো উত্তর-পূর্বে গাঁজা সরবরাহের এক নতুন ট্র্যাণ্ড লক্ষ্য করেছেন।
কিছু বছর পূর্ব পর্যন্ত গাঁজা উৎপাদনের প্রধান অঞ্চল ছিল মণিপুর। বিহার এবং উত্তর প্রদেশে নিয়মিতভাবে গাঁজার সরবরাহ হতো মণিপুর থেকে।
কিন্তু বিগত কয়েক বছরে সে রাজ্যে চলা জোরদার অভিযানের ফলে এবার ত্রিপুরা গাঁজা উৎপাদন এবং সরবরাহের নতুন কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।
দেখা গেছে, ত্রিপুরার সিপাহিজলা অঞ্চলটি যেহেতু সবুজে সবুজ এবং রাবার খেতে ঢেকে ঢেকে গেছে সুতরাং গাঁজা ব্যবসায়ীরা জনগণের চোখের আড়ালে সুযোগ নিয়ে গভীর জঙ্গলের ভিতর গাঁজার চাষ করছে।
উৎপাদিত গাঁজার একটি বড় অংশ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়, যেহেতু প্রতিবেশি দেশটিতে এর যথেষ্ট চাহিদা।
উল্লেখযোগ্য যে, রাজ্যে চলমান চোরা সরবরাহকারী চক্রকে ধ্বংস করার জন্যে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) বিভাগের ঘনিষ্ঠ সাহায্যে কাজ করছে।
ডিআরআই-এর মতে ত্রিপুরার বিশালগড় এবং সিপাহিজলা জেলা দুটো গাঁজা উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র।
লেখকঃ অনির্বাণ রায়
প্রকাশকঃ সাগরিকা দাস