আগরতলা: নতুন ভাবে এখন ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় চালু হয়েছে ডাকাতি। গভীর রাতে এই ডাকাতের দল শহরের বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে লুটে নিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় সব কিছু।
পরপর দুটো ডাকাতি হয়ে গেল আড়ালিয়া এবং বলদাখাল এলাকায়। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এলাকার লোকজন। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখন প্রতিদিন রাতে এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় জনগণ।
চোরেদের উৎপাত তো গোটা রাজ্যেই জারি রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চোরেরা তাদের হাত সাফাই করে চলেছে। এবার গোদের উপর বিষ ফোরা হলো ডাকাতি।
বিগত কয়েকদিন যাবৎ ডাকাতরা নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দুটো ঘটনাও ঘটে গেছে আগরতলা শহরের আড়ালিয়া এবং বলদাখাল এলাকায়। গভীর রাতে ডাকাতরা অস্ত্রের ঝালকানির মুখে লুটে নিয়ে গেল সাধারণ জনগণের অর্জিত অর্থরাশি সহ স্বর্ণালংকার।
শুধু নিয়েই ক্ষান্ত রইলো না ডাকাতরা। আক্রান্ত ও করলো বাড়ির লোকেদের। এ কেমন সংস্কৃতি আমদানি হলো আবার। একে তো চোরেদের দাবরানী এবার নতুনভাবে শুরু হলো ডাকাতদের আক্রমণ।
এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় গোটা রাজ্যের মানুষ। বাধ্য হয়ে আড়ালিয়া এবং বলদাখাল এলাকায় স্থানীয়রা পাহারায় নামলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ও প্রশ্ন তুললেন এলাকাবাসী। নিজেদের জান মাল রক্ষা করতে এখন তারাই প্ৰতিদিন নিজেদের এলাকায় পাহারায় মগ্ন।
রাজধানী আগরতলার (Agartala) বুকে পরপর ডাকাতির ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের উপকণ্ঠে এমন ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে বার বার। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অভিমত, পুলিশ যদি একটু সক্রিয় হয় তাহলে পরপর এধরণের ঘটনা ঘটতেই পারে না।
পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এভাবে একের পর এক ঘটনা সংঘটিত করার সাহস কিভাবেই বা ডাকাতদল পায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরক্ষী প্রশাসনের অস্তিত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।