ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারতের বীরাঙ্গনা রাণী লক্ষ্মী বাঈয়ের ১৯১ তম জন্মদিনে প্রণাম নিবেদন করেছেন তাঁর চরণে।
রাণী লক্ষ্মী বাঈ ভারতীয় রমণীদের সাহসী প্রতীক ও প্রতিকল্প। ভারতবর্ষের ‘জাতীয় বীরাঙ্গনা’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
ভারতীয় কবি সুভদ্রা কুমারী চৌহান (১৯০৪-১৯৪৮) রাণী লক্ষ্মী বাঈয়ের স্মরণে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। কবিতার নামকরণ করা হয় ঝাঁসি কি রাণীচ। যে কবিতায় জাতীয় বীরাঙ্গনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সাহসী লক্ষীবাঈকে।
১৮৭৮ সালে কর্ণেল ম্যালসন লিখিত “দ্য হিস্ট্রি অব দ্য ইন্ডিয়ান মুটিনি” পুস্তকে লক্ষ্মী বাঈ বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি লিখেন,
“ … তার জনগণ সর্বদাই তাঁকে স্মরণ করবে। তিনি নিষ্ঠুরতাকে বিদ্রোহের পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি জীবিত আছেন এবং স্বীয় মাতৃভূমির জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।”
'' खूब लड़ी मर्दानी वो तो झाँसी वाली रानी थी ''
महान वीरांगना झांसी की रानी लक्ष्मीबाई की जन्म जयंती पर कोटि कोटि प्रणाम.
स्वतंत्रता संग्राम में अंग्रेज़ों के खिलाफ रानी लक्ष्मीबाई की वीरगाथा युगों-युगों तक याद की जाएगी. वो लंबे समय तक प्रेरणा की श्रोत रहेंगी. #lakshmibai pic.twitter.com/py5I2zSd9Z
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) November 19, 2019
যুদ্ধের ময়দান। রণহুংকারের চেয়ে আধুনিক অস্ত্রের গর্জন বেশি শোনা যাচ্ছে। বিপদ হলো, এসব আধুনিক অস্ত্রের বেশিরভাগই প্রতিপক্ষের। সেসবের তোড়ে এ দলের সেনারা প্রতি মুহূর্তে পিছু হঠছে। প্রবল বিক্রমে যুদ্ধ করছে কেবল একজন। দু’হাতে তলোয়ার ধরে একের পর এক প্রতিপক্ষের সেনাকে ঘায়েল করে চলেছে। সাদা জামা আর পাজামা পরা সেই যোদ্ধা শুধু নিজে যুদ্ধ করছে, তা-ই নয়। মনোবল হারানো সৈন্যদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। কিন্তু এ কী! তার পিঠে কী বাঁধা? তার পিঠের সাথে বাঁধা আছে ছোট্ট এক শিশু।
এসব গল্পের মতো শোনালেও এমনই সত্য ছিলেন রানি লক্ষ্মীবাঈ।
বীর এই যোদ্ধার নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাছে আসতেই বর্ণনাকারী দেখতে পেয়েছিলেন, এই যোদ্ধা আর কেউ নন, স্বয়ং ঝাঁসির রানী লক্ষীবাঈ।
তিনি নারীজাতির গর্ব। গর্ব সারা ভারতবর্ষের। জন্মদিনে ‘নর্থ ইস্ট নাও’ পরিবারের পক্ষ থেকে অসীম শ্রদ্ধা জানানো হলো তাঁর প্রতি।