যে মুহূর্তে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সশব্দে ঘোষণা করে চলেছেন রাজ্য বেকারত্ব সমস্যা দূর করার জন্যে তৎপর। ঠিক সে মুহূর্তে একই পরিবারের ৪ জন কর্মসংস্থানের অভাবে বুভুক্ষু অবস্থায়, ঋণের বোঝা সইতে না আত্মঘাতী হল।
শনিবার দিনমজুর পরেশ তাঁতি বাড়ির তিন জনকে একসঙ্গে নিয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছেন।
রাজ্যে কাজের অভাব এবং এনজিওর চড়া সুদের ঋণের চাপে অবশেষে দিশেহারা পরিবারটি শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হয়ে প্রমাণ করে গেল বিপ্লব দেবের ভুয়ো ভাষণ।
ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার পূর্ব চানপুর এডিসি ভিলেজের সন্ন্যাসীমুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার তীব্র বিরোধিতা করেন এই ঘটনার। জোর গলায় তাঁরা উড়িয়ে দিতে চাইছেন অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার ঘটনাটি।
সোমবার সিপিআই(এম) দল নেতৃত্ব মানিক সরকার, দলের আরো দুই বিধায়ক রতন ভৌমিক, সুদন দাস এবং স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পরীক্ষিত মুরা সিংহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে সরেজমিনে সমস্ত ব্যাপার বোধগম্যের জন্যে।
পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্তব্ধ পুরো এলাকা। অঞ্চলবাসী এবং স্থানীয় নেতাদের অভিযোগের তির বিপ্লব দেব সরকারের দিকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা ত্রিপুরায় অরাজকতা চলছে। কাজ ও খাদ্যের অভাব চারদিকে। কর্মসংস্থান হারিয়ে, না খেতে পেয়ে অনাহারে, অভাবে রাজ্যবাসী ধুঁকছে! অথচ সরকারের কোন লক্ষ্য নেই।
এই মৃত্যুর জন্যে সমানভাবে দায়ী রাজ্যে চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে যেসব সংস্থাগুলো।
তাঁদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসিরা।
রবিবার বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার উৎসবের আয়োজন করছে সরকারি অর্থের অপচয় করে। এদিকে সারা রাজ্যে চলছে কাজ ও খাদ্যের আকাল।