আগরতলা: দুদিনের ত্রিপুরা( Tripura) সফরে আগরতলায় (Agartala) এসে পৌঁছলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)। উল্লেখযোগ্য যে, ত্রিপুরার (Tripura) পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে।
নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক সমীকরণ ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় যাতে বিরোধীদেরকে কোনভাবে সুযোগ না দেওয়া যায় এর জন্য আগেভাগে ময়দানে নেমে গিয়েছে শাসকদল বিজেপি।
দিল্লি নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দুদিনের সফরে রবিবার আগরতলা (Agartala) এসে পৌঁছলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jo nadda)।
বেলা ১১টা নাগাদ বিশেষ বিমানে আগরতলার (Agartala) এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, যীষ্ণু দেববর্মণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা (tripura) রাজ্য প্রভারি বিনোদ সোনকর, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, আসাম (assam) ও ত্রিপুরার (tripura) সংঘঠন মন্ত্রী ফণীন্দ্রনাথ শর্মাসহ অন্যান্যরা।
বিমান থেকে নেমে আসার পর রানওয়ের মধ্যেই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা তাকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন, তারপর উপস্থিত নেতৃবৃন্দ একে একে তাকে অভিনন্দন জানান।
বিমানবন্দরের ভিতরেই তিনি নেতৃত্বদের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনবেন। এর পর তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সেখানে তাকে জনজাতি, মণিপুরী এবং বাঙালি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সঙ্গীতে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বিমান বন্দর থেকে তিনি সোজা চলে আসেন রাজধানীর খেজুর বাগান একাকার রাজ্য অতিথিশালায়। আসার সময় রাস্তার দুপাশে সাধারণ মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানান। রাজ্য অতিথি সালায় বিজেপির পদাধিকারী এবং রাজ্য মোর্চা সভাপতি, বিজেপি জনজাতি বিধায়ক এবং এমডিসিদের সাথে বৈঠক করবেন।
বিজেপি মন্ত্রী ও বিধায়কদের সাথে বৈঠক করবেন। এরপর আইপিএফটি বিধায়কের সাথে বৈঠক করবেন। বিজেপি ত্রিপুরা (tripura) কোর কমিটির সাথে বৈঠক করবেন। দিনভর বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে পদের বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।
তার সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। সব শেষে পশ্চিম জেলার খুমলং এলাকায় একটি প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এই সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত থাকবেন। দিল্লি ফিরে যাবেন।