ত্রিপুরা উচ্চ আদালত এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি কর্মচারীরা সভা-সমিতি এবং রাজনৈতিক কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন পাশাপাশি মুক্তভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেও পারবেন।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মচারির বিরুদ্ধে সরকারের চালানো তদন্ত নাকচ করে মুখ্য ন্যায়াধীশ এ কুরেশি ১০ জানুয়ারি এই গুরুত্বপূর্ণ রায়টি প্রদান করেছে।
এই রায় অসমের জন্যে একটি ভালো দৃষ্টান্ত হতে পারে। কারণ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হওয়া সহিংস প্রতিবাদ দমন করার করার নামে সরকারি কর্মচারীদের বাক স্বাধীনতা নষ্ট করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে কোন সরকারি কর্মচারি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারে সমালোচনা করতে পারবেন না।
ত্ৰিপুরা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে যে সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন অনায়াসে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্ত চিন্তার প্রকাশ ঘটাতে পারবেন। মুক্ততার সে কাজ সারা ভারত সেবা (আচরণ) বিধির ৫ নং নিয়মের অধীনে কোন শাস্তি প্রদান করবে না।
মুখ্য ন্যায়াধীশ কুরেশি বলেন, রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত থাকা মানেই রাজনীতিতে জড়িত হওয়া বোঝায় না। সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল তারিখে অবসরের মাত্র দুটো দিন বাকি থাকা অবস্থায় ত্রিপুরা বিজেপি সরকারের দ্বারা লিপিকা পাল নামক একজন কর্মচারিকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
লিপিকা ২০১৭ সালে একটি রাজনৈতিক কার্যসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি বিরোধি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তাঁকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।