আগরতলা: স্বাধীনতার ৭৫বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়েও শুরু হয়েছে তিন দিনের হর ঘর তিরঙ্গা har ghar tiranga উৎসব। উৎসবের অঙ্গ হিসেবে প্রতিটি বাড়িঘর সরকারি আধা সরকারি বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে।
এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা প্রথমে তার বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি রাজধানী আগরতলার শিশু বিহার এলাকার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
সবুজ পতাকা নেড়ে সদর মহকুমার উদ্যোগে আয়োজিত বাইক র্যালীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে ১০০বেশী মোটর বাইক নিয়ে বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নিয়ে ছিলেন। এই উপলক্ষে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে হাত মেলান। কচিকাঁচারা তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি রাজধানীর ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকায় রান ফর গ্রিন ত্রিপুরা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সচিবালয়ে সামনে বৃক্ষরোপণ করেন।
সকালে সচিবালয়ের প্রবেশদ্বারে ৩০.৫ মিটার উচ্চতার ভারতের জাতীয় পতাকার উদ্বোধন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকাটি ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বোচ্চ জাতীয় পতাকা। রিমোটের বোতাম টিপে মুখ্যমন্ত্রী এর উদ্বোধন করেন।
এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, খাদ্য এবং জন সংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এদিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। সকলের জন্য এটি গর্বের এবং আনন্দের। সবাই যাতে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বিয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করে এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে শামিল হয়। স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম লোকসভা আসনের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। এদিন সকালে তিনি প্রথম তার আগরতলা সরকারি আবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর সিপাহীজলা এবং পশ্চিম জেলার বিভিন্ন জায়গায় হর ঘর তিরঙ্গা উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করেন।