আগরতলা: বীরসিংহ গ্রামের এই মানুষটির হাত ধরেই বর্ণের সঙ্গে পরিচয়। তাঁর বোধোদয়, কথামালার হাত ধরেই শুরু জীবনের বোধোদয়।
তৎকালীন ব্রাহ্মণ-প্রভাবিত সমাজে এই জন্যই বিধবা বিবাহ প্রথায় সাহস পেয়েছিল বাঙালি( bangali) । সোমবার সেই মহান ব্যক্তি দয়ার সাগর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (ishwarchandra Vidyasagar)২০৩ তম জন্মবার্ষিকী। ত্রিপুরা (tripura) সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হল বিদ্যাসাগরকে( ishwarchandra vidyasagar)।
১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বের বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্ম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের (vidyasagar)। শৈশব থেকেই তাঁর প্রতিভা সর্বজনবিদিত। তাঁর পাণ্ডিত্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, কর্মনিষ্ঠা, নির্ভীকতা আজও বাঙালির (bangali) কাছে এক দৃষ্টান্ত।
একাধারে ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক । তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ।
সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় (bangla) অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।
শুধু সাহিত্য নয়, বিধবা বিবাহ, নারীশিক্ষা-সহ একাধিক সমাজ সংস্কারমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর (vidyasagar)।
সোমবার বিদ্যাসাগরের (vidyasagar) ২০৩ তম জন্মবার্ষিকী। রাজ্যজুড়ে (tripura) নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হলো প্রাতঃস্মরণীয় এই ব্যক্তির জন্মদিনটি। রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে রাজধানীর ড্রপ গেটের মর্মর মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দেব বলেন, বিদ্যাসাগর শুধু বিদ্যারই সাগর ছিলেন না, তিনি ছিলেন জ্ঞানের সাগর, দয়ার সাগর, করুণার সাগর এবং মানবতার সাগর। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত, যে আমরা ভারতবাসী তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে চলেছি এবং আগামীতেও চলবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, বিদ্যাসাগর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগেও এদিন বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।
সোমবার অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে পালন করা হলো বিদ্যাসাগরের (vidyasagar) জন্মবার্ষিকী। উপস্থিত সবাই বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দিনটাকে শিক্ষা বাঁচাও দিবস হিসেবে পালন করা হল। এদিকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী পালন করলো AIDSO এবং AIMSS। রাজধানীর বটতলা এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা।