ত্রিপুরার পূর্বের বাম আমলের গড়কপ্তানি মন্ত্রী বাদল চৌধুরি এবং পূর্ত কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার সুনিল ভৌমিককে গ্রেপ্তার করার পর প্রাক্তন মুখ্য সচিব যশপাল সিঙেরও গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা প্রখর হয়ে উঠেছে।
প্রায় ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতিটির একজন অভিযুক্ত হিসেবে যশপালের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।
এদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরিকে ২১ অক্টোবর তারিখে আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তাঁর বর্তমানের চিকিৎসা পুলিশের নিরিক্ষণেই চলছে।তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
নিজস্ব কার্যালয়ে বিভাগটিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর চৌধুরিবাবু বলেছিলেন যে তিনি যে কোন ধরনের তদন্তের সামনা সামনি হতে রাজি আছেন।
সোমবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর ছিল ত্রিপুরা হাইকোর্টে বাদল চৌধুরির আগাম জামিনের আবেদনের দিন। বাদলবাবুর হয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সরকারের হয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক দীর্ঘ সওয়াল করেছিলেন।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি অরিন্দম লোধ রিজার্ভ রেখে দেন তাঁর রায়।
২১ তারিখের রাতেই বাদল চৌধুরি গ্রেপ্তার হওয়ার ফলে বাতিল হয়ে যায় সেই আবেদন।
মঙ্গলবার নতুন করে জামিনের আবেদন করা হয় বাদলবাবুর পক্ষে।
আগামিকাল, ২৪ অক্টোবর জামিনের আবেদন শুনানি হবে।
পূর্ত বিভাগের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এবং তার পরবর্তী অনুসন্ধানের ভিত্তিতে চৌধুরি, প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং বিভাগের সুনিল ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪১৮, ৪২০, ২০১, ১২০B এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা ১৩-র অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।