কতটা কঠোর আইন ধর্ষণ বন্ধ করবে দেশে? প্রশ্ন প্রত্যেক মেয়ের মায়েদের। আর কতো?
এবার ফের পঙ্গপালের দল ঝাপিয়ে পড়ল মেয়ের ওপর!
শুক্রবার ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার সোনামুরায় একদল যুবকের দ্বারা গণধর্ষণের স্বীকার এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোনামুড়া গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষক যুবকরা তাঁকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঠাকুরমুরায় রাস্তার পাশে শুক্রবার বিকেলে মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ থেকে অবিরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে শীঘ্রই নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুড়া হাসপাতালে। কিন্তু পরে তাকে মেলাঘর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মেয়েটি বর্তমানে মেলাঘর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী যখন কথা বলতে শুরু করেন আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারি, ”পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পুলিশ ভারতীয় প্যানেল কোডের (আইপিসি) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
কিন্তু এখনো অবধি কোন অপরাধীকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
প্রসঙ্গক্রমে, উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। নির্যাতিতার পরিবারকে এক মাসের মধ্যেই ওই টাকা দিতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের।
শুক্রবার দুপুর ২টোয় দিল্লির তিসহাজারি কোর্টে সেঙ্গারের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ধর্মেশ শর্মা।
তবে বলে রাখি, কোন আইন, কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তিও ধর্ষকের ধর্ষণ বন্ধ করতে পারবে না। যতদিন না সমাজ থেকে পুরুষতন্ত্র বিলোপ হচ্ছে।