আগরতলা: আর কদিন পর মহা ধুমধামের সঙ্গে স্বাধীনতার ৭৫বছর উদযাপন করা হবে। এর প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠান চলছে, এর অন্যতম একটি হচ্ছে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন (azadi ka amrit mahotsav)।
সারাদেশে যখন আনন্দের বাতাবরণ তখন বসে নেই ভারতীয় সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ (bsf)। আজাদী কা অমৃত মহোৎসব (azadi ka amrit mahotsav) উপলক্ষে হর ঘর তেরঙ্গা har ghar teranga অভিযানের প্রস্তুতি চলছে দেশ জুড়ে। এর অংশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের বাতাবরণ তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিএসএফ (bsf)।
হর ঘর তেরঙ্গা (har ghar teranga) অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আগরতলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সিপাহীজলার জেলার বক্সনগর এলাকায় কলসীমুড়ার নগর সীমান্ত এলাকায় মাদ্রাসার স্কুল পড়ুয়া সহ শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেককেই জাতীয় পতাকা বিতরণ করলেন বিএসএফ’র ১৫০নম্বর ব্যাটালিয়নের তরফে। শুধু শুধু পতাকা বিতরণ করেই শেষ নয়, ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা হাতে শিশুদের নিয়ে র্যালি করল বিএসএফ।
এতে নানা বয়সী নানা ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া যা কিনা শুধুমাত্র দুটি দেশের সীমানা চিহ্নিত করে, তাকেও জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কাঁটাতারের ওপারে দেড়শ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ড অংশতে থাকা ভারতীয়দের বাড়িতেও পত পত করে উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। যেগুলো বিএসএফের তরফে লাগানো হয়েছে।
বিএসএফ আধিকারিক অরবিন্দ কুমার যাদব জানান, এই মহোৎসবে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা এবং দেশাত্মবোধ গড়ে তুলতেই এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে । ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি এবছর। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কেন্দ্রের সরকার হর ঘর তেরঙ্গা অভিযান শুরু করেছে। আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান গোটা দেশবাসীর কাছে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার।
এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ত্রিপুরায়। বিএসএফের এদিনের এই কর্মসূচিতে খুশি ব্যক্ত করেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।