আগরতলা: ডাবল ইঞ্জিনের সরকার ত্রিপুরাকে (Tripura) ডাবল শক্তি দিয়ে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তাই ২০২৩সালে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP)আরো ব্যাপক ভাবে জয়ী হবে।
আগরতলায় (Agartala) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবী করেন বিজেপি’র (BJP) সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যে গত চার বছর ধরে বিজেপি (BJP) সরকার রয়েছে।
এর আগে ৩৫ বছর বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। তারা দীর্ঘদিন শাসন করলেও মহিলাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি। ঠিক একই ভাবে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষদেরকে উন্নয়নের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে, রাজ্যের যুব সমাজের জন্য কিছু করেনি।
বামেদের মতো ত্রিপুরায় (Tripura) কংগ্রেসও দীর্ঘ বছর শাসন করেছে, তারা রাজ্যের উগ্রবাদ ও অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে। তাই সেই সময় উগ্রবাদ চরম পর্যায়ে ছিল, বনধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
অবৈধ মাদক ব্যবসাকেও তারা উৎসাহিত করেছে। আগরতলা (Agartala) এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবার এই কথাগুলো বলে বি জে পি ‘র (BJP) সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)।
তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যখন বিজেপি সরকার ত্রিপুরার (Tripura) যখন ক্ষমতায় এসেছে তারপর থেকে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা হয়েছে।
শিল্প সম্প্রসারিত হচ্ছে, জৈব কৃষি, পর্যটন শিল্প, খেলাধুলা ও পরিকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে গতি এসেছে। মৈত্রী সেতুর মধ্যে দিয়ে সড়ক যোগাযোগ ভালো হয়েছে, তেমনি আগরতলা ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ট্রেন সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে ফলে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হয়ে উঠছে।
মহিলা স্বশক্তিকরণ, সহায়ক দলগুলিকে কাজের সুবিধা করে দেওয়া এবং তাদের উৎপাদিত সামগ্রির বাজার জাত করণের ব্যবস্থা করা। চাকরিতে মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
ফিরেন্সিক সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব বিদ্যালয়সহ সার্বিক উন্নয়নের কাজ করছে। ত্রিপুরায় (Tripura)স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এ সরকারের সময় আনারস, কাঁঠাল, লেবু আদা দেশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
এইসবের কারণে মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য ৮৫ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপ উন্নতি হয়েছে। তাই এখানে কঠিন থেকে কঠিন পারেশন হচ্ছে এখন।
ডাবল ইঞ্জিনের সরকার ডাবল শক্তি দিয়ে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে দাবি করেন। এ সকল কারণে ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার গঠন করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগে বিজেপির তরফে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা সবকটা পূরণ হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
এদিনের এই সংবাদ সম্মেলনে জে পি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ।