রবিবার, ১৯ শে জানুয়ারি আগরতলায় ৪২তম ককবরক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে রাজ্যের ককবরকের বিখ্যাত লেখক-গুণীজনদের।
ককবরক ভাষার বাধা নিয়ে এদিন যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
রবিবার বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আদিবাসীদের ভাষায় ভাষণ দিয়ে ইতিহাস রচনা করলেন।
বলেন, “লোকেরা যেকোন ভাষা শিখতে পারে যদি তারা তা হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করে – প্রত্যেকের এমন মানসিকতার বিকাশ করতে হবে। ত্রিপুরায় ৩২ শতাংশ আদিবাসী জনসংখ্যার মধ্যে ২৯ শতাংশ ককবরক ভাষায় কথা বলেন।”
বিপ্লব দেবই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি ককবরক ভাষা না জানা সত্ত্বেও ত্রিপুরা বিধানসভায় ককবরক ভাষায় ভাষণ প্রদান করেছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, আদিবাসীদের নেতা হিসাবে নিজেকে মেলে ধরার জন্যে প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য তাঁর রাজকীয় বংশটি ব্যবহার করলেও ককবরক ভাষা কখনোই করেননি।
তিনি ককবরক অথবা বাংলা কোনটাতেই নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন না। যে ভাষা দুটো ত্রিপুরার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষা।
বিপ্লব দেব বলেন, ককবরক ভাষায় কথা বলে আজ আমি আনন্দিত। ককবরকভাষীদের মাতৃভাষায় সম্বোধন করে আমি উচ্ছ্বসিত। আমি গতকাল রাতে এই ভাষণটি প্রস্তুত করেছিলাম”। তিনি এই শুভদিনে আদিবাসীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাজ্য সরকার ককবরক ভাষার উন্নয়নের জন্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“এর আগে ককবরক বিষয় ৯৪ টি সিনিয়র বেসিক, ৫২ টি মাধ্যমিক স্কুল এবং ২০ টি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ানো হতো। এখন এ সংখ্যা যথাক্রমে ১৩৯, ১০০ এবং ৪১ এ উন্নীত হয়েছে।”
রবিবার অনুষ্ঠানের সন্ধ্যায় উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, “ককবরক ভাষা স্বীকৃতির ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই ভাষার আশানুরূপ বিকাশ ঘটেনি। এ বিষয়ে ককবরক ভাষার লেখক-বুদ্ধিজীবীসহ যুব সমাজকে ভাবতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ‘পূর্বোদয়’এর সাধারণ সম্পাদক নিতি দেব।