আগরতলা : ত্রিপুরার (Tripura) খোয়াই (khowai) জেলার নিখোঁজ ও পরবর্তী সময় বাংলাদেশে (Bangladesh) উদ্ধার হওয়া ই-রিকশা চালকের মৃতদেহ ভারতের কাছে হস্তান্তর করল সে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি জি বি (bgb)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ (Bangladesh) কর্তৃপক্ষ ও ত্রিপুরার (Tripura) খোয়াই (khowai) ভারত বাংলাদেশ (india bangladesh) সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে তুলে দিল।
পরে বিএসএফ (bsf) পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে মৃত দেহটি। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ২ সেপ্টেম্বর খোয়াই (khowai) থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল যে খোয়াই শহর থেকে টমটম চালক ধীরাজ ঘোষ নিখোঁজ বলে তার পরিবারের তরফ থেকে।
পরবর্তী সময় গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) হবিগঞ্জ (habibganj) জেলার শায়েস্তাগঞ্জের নদীর জলে মৃতদেহ ভেসে আছে। মৃতদেহের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে সে দেশের পুলিশ জানতে পারে যে মৃত ব্যক্তির বাড়ি ত্রিপুরা (tripura) রাজ্যে।
বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি (bgb) পরবর্তী সময় বিএসএফের (bsf) সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিএসএফের (bsf) মাধ্যমে ত্রিপুরা (tripura) পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহটি সনাক্ত করে এবং মৃতদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য তৎপরতা শুরু করে।
মঙ্গলবার খোয়াই (khowai) পুরাতন বাজার সীমান্ত দিয়ে দেহটি হস্তান্তর করা হয় মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের (bangladesh) হবিগঞ্জ (habiganj) জেলার পুলিশ ও বিজিবি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফের (bsf) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ খোয়াই (khowai) থানার ওসি ও এসডিপিও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
মৃত টমটম চালকের ভাই যুবরাজ ঘোষের অভিযোগ তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনতে পেরেছেন। পুলিশ একটি মামলা নিয়ে ঘটনা তদন্ত করছে।