আগরতলা: চুড়াইবাড়িতে (churaibari) অসম (assam) এবং ত্রিপুরা (tripura) পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি লরি থেকে উদ্ধার করা হলো বিপুল পরিমাণ গাঁজা। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য এক কোটি দশ লক্ষ টাকা।
শনিবার একই সঙ্গে দুটি থানাতে দুটি লরি থেকে প্রায় এক টনের উপর গাঁজা উদ্ধার করে অসম (assam)ও ত্রিপুরা (tripura) পুলিশ। অসমে (assam) চুরাইবাড়ি (churaibari) ফাঁড়ির ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস PB01AN-5971 নম্বরের গাড়িকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই গাড়িতে থাকা ফলের ট্রে থেকে ৩৫টি প্যাকেটে ২০কেজি করে মোট ৭০০কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গাড়ির চালক হেমরাজ শিং ও সহচালক সন্তোষ কুমারকে আটক করে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। চালকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে এবং সহ চালকের বাড়ি রাজস্থানে।
চালক জানায় সে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগরতলা (agartala) থেকে এই গাঁজাগুলি শিলং এর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। আটককৃত গাজার বাজারমূল্য আনুমানিক সত্তর লক্ষ টাকা বলে জানান ইনচার্জ।
অপরদিকে, একইভাবে ত্রিপুরার (tripura) চুরাইবাড়ি (churaibari) থানার পুলিশ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে HP31C-5226 নম্বরের রাবার বোঝাই লরি আটক করে।
রাবার সিটের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। গাঁজাগুলির কালোবাজারি মূল্য চল্লিশ লক্ষ টাকা বলে জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এক্ষেত্রেও চালক শ্রীধর শ্রীকান্ত ও সহচালক অনিল কুমারকে আটক করা হয়েছে।
আটক দুজনের বাড়ি হিমাচল প্রদেশে। তাদের বিরুদ্ধেও এনডিপিএস আইনে মামলার রুজু করেছে চুরাইবাড়ি (churaibari) পুলিশ। রাজ্যের (tripura) মুখ্যমন্ত্রী নেশার বিরুদ্ধে প্রতিদিন বক্তব্য রেখে চলেছেন। নেশা কারবারীদের নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অথচ রাজ্যজুড়ে সক্রিয় নেশা কারবারিরা। নিত্যদিন অবাধে চলছে গাঁজা পাচার। শনিবার পুলিশের এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা আরো একবার ভাবতে বাধ্য করবে আরক্ষী প্রশাসনকে।