আগরতলা: ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যের রাজধানী আগরতলা (Agartala) শহরে আবারো দুঃসাহসিক ডাকাতের ঘটনা ঘটলো। এবারের ঘটনা বলদাখাল এলাকায়। গত দুদিন আগের মতো একই কায়দায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীজুড়ে (Agartala)।
পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ। প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খেয়ে দেয়ে স্ত্রী, ছেলে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলদাখাল এলাকার বাসিন্দা লিটন ঘোষ। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টা নাগাদ দরজা ভেঙে লিটনের ঘরে ঢুকে পড়ে ডাকাতদল।
চারজন ঘরে ঢুকলেও আরো বেশ কয়েকজন ঘরের বাইরে অপেক্ষা করছিল বলে অভিমত লিটন ঘোষের। তিনি বলেন, চারজনের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। একজনের হাতে আবার একটি পিস্তলও ছিল বলে জানান। যদিও সে পিস্তলটি নকল বলেই ধারণা তার।
ডাকাত দলের চারজন ঘরে ঢুকেই লিটন এবং তার স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। পাশাপাশি ঘরে থাকা ৬ লাখ টাকা দেবার জন্য হুমকি দিতে থাকে। লিটন এবং তার স্ত্রী বারংবার বলতে থাকেন যে তাদের কাছে এত টাকা নগদ নেই।
এরপরও ডাকাতরা বলতে থাকে যে তাদের কাছে খবর আছে ঘরে ৬ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। তখন ডাকাতরা লিটনের হাত-পা বেঁধে ফেলেই তাকে মারধর করতে থাকে। পাশাপাশি লিটনের স্ত্রীর বুকে পিঠে লাথি মারতে থাকে।
একপর্যায়ে ছয় লাখ টাকা খুঁজতে ঘরের সকল জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে। আলমারি খুলে সেখানে থাকা ছয় ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। পাশাপাশি দুটি নতুন মোবাইল এবং পরিবারের সকলের আধার কার্ড, আই কার্ডসহ একটি ফাইলে মজুদ রাখা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
প্রায় কুড়ি থেকে ২৫ মিনিট তান্ডব চালায় চারজন। চারজনের কাউকেই লিটন চিনতে পারেননি বলে জানান। তবে চিনতে না পারলেও তার অভিমত, এলাকারই কেউ হয়তো এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন লিটন এবং তার স্ত্রী।
অভিযোগ তোলেন কর্তব্যে গাফিলতির। তাদের বক্তব্য,পুলিশ এসে নামমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করেই ফিরে যান। বুধবার সকালে থানায় গিয়ে তাদের দেখা করতে বলেন। পুলিশের এহেন ভূমিকায় যারপরনাই বিরক্ত লিটন এবং তার স্ত্রী।
রাজধানী আগরতলার (Agartala) বুকে এ নিয়ে পরপর তিন তিনটি ডাকাতির ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের উপকণ্ঠে এমন ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে বার বার। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অভিমত, পুলিশ যদি একটু সক্রিয় হয় তাহলে পরপর এধরণের ঘটনা ঘটতেই পারে না।
পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এভাবে একের পর এক ঘটনা সংঘটিত করার সাহস কিভাবেই বা ডাকাতদল পায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরক্ষী প্রশাসনের অস্তিত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।