আগরতলা: Miyanmar থেকে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তরপূর্বে প্রবেশ করছে নেশা সামগ্রী। পাশাপাশি এখনো Bangladeshর কিছু কিছু এলাকায় অবস্থান করছে উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জঙ্গি সদস্যরা।
এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে agartalaয় চলছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের দুদিনের বৈঠক। এই বৈঠকের সূচনা করলেন tripura র মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা।
মঙ্গলবার থেকে agartala য় শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পুলিশ প্রধানদের ২৭ তম কনফারেন্স। Tripura রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে উপস্থিত রয়েছেন tripura পুলিশের মহা নির্দেশক তথা ডি জি অমিতাভ রঞ্জন সহ উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির ডি জি, আই জি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা।
প্রথম দিনের কনফারেন্সের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন tripura রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, tripura রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে স্বাগত জানান। পরে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় নেশা সামগ্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশ করছে।
এরপর এগুলো বাংলাদেশে যাচ্ছে। আবার ত্রিপুরাতে অবৈধভাবে উৎপাদিত গাঁজা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। কি করে নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধ করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
তিন বছর পর এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ৩০বছর পর এই কনফারেন্স হচ্ছে বলে জানান। কোভিডসহ নানা কারণে মাঝে কিছু বছর এই বৈঠক হয়নি।
বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধানের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরো গতিশীল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরো বলেন আগে উত্তরপূর্ব ভারতের উগ্রবাদীদের বারবাড়ন্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেষ্টায় এখন দেশের এই অঞ্চলের শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এক্টইস্ট পলিসির কারণে উত্তর পূর্বের প্রতিটি রাজ্য একই মালায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
আগে রাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে সমস্যা হতো এখন এগুলি নেই বললেই চলে। উগ্রবাদও নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এখন উগ্রবাদী রয়েছে। এই দিকেও রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্র নজরধারী করে চলছে।
নিজেদের মধ্যে ফিলগুড এবং অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে। উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইসুতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন তিনি। জানান রোহিঙ্গা বা মাঝে মাঝে রাজ্য অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিশ বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করছে।
পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি বলেন রাজ্যের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু জায়গা বাকি রয়েছেনানা সমস্যার কারণে। এগুলোতেও যাতে দ্রুত বেড়ান নির্মাণ করা যায় তার জন্য আলোচনা চলছে।