আগরতলা: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং মংলা বন্দরকে ব্যবহার করে ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পণ্য আমদানির ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুর স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী একটি কন্টেইনার ত্রিপুরায় এসে পৌঁছলো।
পণ্যবাহী কন্টেইনার ভ্যানটিকে স্বাগত জানাতে স্থলবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রণকের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প এবং বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার ড: রাজীব রঞ্জন, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সরকারি হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার সার্কেল।
ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী প্রমুখ। উপস্থিত অথিতিরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পন্যবাহী যান ত্রিপুরায় পরিবেশ করান। এরপর শ্রীমন্তপুর স্থল বন্দরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যকে আরো মজবুত করার জন্য দুই দেশের হাই কমিশনারদের আহ্বান জানান, যাতে আগামী দিনের নূন্যতম আরো ৫০শতাংশ বেশী পণ্য আমদানি করা যায় এই ব্যবস্থা করার।
পাশাপাশি শ্রীমন্তপুর চেকপোষ্ট এবং বাংলাদেশের বিবির বাজারের মধ্যে সংযোগকারী যে রাস্তা রয়েছে সেটি দ্রুত নবীকরণ করার কাজে হাত বাড়ানোর জন্যও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়াও আগামী ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ ও যেন সামিল হয়, সেজন্য ত্রিপুরা রাজ্যে ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়াও এই দিনের অনুষ্ঠানে আলোচনা রাখেন মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার ড: রাজীব রঞ্জন প্রমুখ।
এই ট্রায়াল রানে প্লাষ্টিক সামগ্রী ও এর কাঁচা মাল এসেছে। এগুলি শ্রীমন্তপুর থেকে আসামের শিলচরে যাবে বলে জানা গিয়েছে।