আগরতলা:চাকরির দাবিতে বুধবার ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দিল MPW এবং ANM পাশ করা রাজ্যের একাংশ বেকার যুবক-যুবতীরা। এদিন তাঁরা রাজধানী আগরতলার গোর্খাবস্তি এলাকার স্বাস্থ্য অধিকর্তার অফিসে এসে তাঁদের দাবি সনদ তুলে দেন।
একাধিকবার ডেপুটেশন দেওয়ার পরও তাঁদের চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ। যদি তা বেতনদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে মহাকরণ অভিযান করবেন তাঁরা, বলেও জানায়। তাঁরা হাতে তাদের দাবি সম্বলিত প্লে কার্ড নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিন ডেপুটেশন দিতে আশা চাকরি প্রত্যাশী এক যুবক জানান, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তরে MPW পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থায়ী ভাবে একজনেরও চাকরি প্রদান করেন।
করোনা মহামারী সময় ১০০ জনকে অনিয়মিতভাবে নিয়োগ করেছিলেন। তাঁরা পাশ করে কলেজ থেকে বের হওয়ার চার বছর হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন পর পর ডেপুটেশন দিচ্ছেন চাকরিতে নিয়োগের জন্য, কিন্তু ত্রিপুরা সরকার তাঁদের জন্য কোন কিছু চিন্তাভাবনা করছে না।
২০১৭ সালে পূর্বতন সরকারের সময় সর্বশেষ এই পদে নিয়োগ করার জন্য ইন্টারভিউ নিয়েছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাতিল হয়ে যায়। স্বাস্থ্য অধিকর্তা নিজেও তাদেরকে জানিয়েছেন শূন্য পদ রয়েছে।
দপ্তর থেকে তাদেরকে জানানো তাদের চাকরির জন্য ফাইল পাঠানো হচ্ছে কিন্তু অর্থ দপ্তর মঞ্জুর করছেন না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যিনি স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার আবেদন পাঠালেও তা খারিজ হয়ে যেত।
তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কোন সময় দেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তা ভোগদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহাকরণ অভিযান করবেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারপর বাড়ি ফিরবেন।
এদিন আরো এক চাকরি প্রত্যাশী মহিলা বলেন, সরকারের ধরনের চাকরি দেওয়ার ইচ্ছা না থাকলে তাহলে এতগুলো ইনস্টিটিউট খুলে রেখেছে কেন। এগুলো বন্ধ করে দিলে ভালো হয়। প্রফেশনাল কোর্স করার পর চাকরির জন্য এভাবে ছুটতে হচ্ছে তাঁদের।