আগামিকাল ৭৩ সংখ্যক স্বাধীনতা দিবস এবং একইসঙ্গে মিলন উৎসব রাখি বন্ধন অনুষ্ঠান সারা দেশজুড়ে উদযাপিত হতে চলেছে আনন্দের সঙ্গে।
স্বাধীনতার ঠিক পূর্বক্ষণে ভাতৃত্বের বন্ধন স্বরূপ আজ ত্রিপুরা রাজ্যে একতা ক্লাবের পক্ষ থেকে রাখি বন্ধনের শুভ সূচনা হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বাহুতে রাখি পরিয়ে দিয়েছেন বোনেরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিম ত্রিপুরা একতা ক্লাব ভারতের ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছ্বায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে।
এদিন বক্তৃতা সভায় সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রক্তদান ত্রিপুরা রাজ্যে বলা যায় পরম্পরাগতভাবে চলে আসছে। মানুষের জীবনে ‘নেই’ বা হা হুতাশের কোন প্রয়োজন নেই। কারণ সমস্ত দুঃখের মূল এগুলোই। ব্যক্তি থেকেই সমাজ সৃষ্টি হয়। সুতরাং সর্বপ্রথম ব্যক্তির চরিত্র হতে হবে স্বচ্ছ। আধুনিক তথা পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে।
বিপ্লব দেব আত্মবিশ্বাসের স্বরে পূর্বের মার্ক্সসিস্ট সরকারের ঠিক বিরোধিতা নয়, বরং সত্য বলার মতো করেই অত্যন্ত রুচিপূর্ণভাবে জানিয়েছেন, তিনি যে ব্যতিক্রমী কাজগুলো করছেন, তা কারো কারো ভাল নাও লাগতে পারে। কিন্তু তা তিনি করেই যাবেন।
কারণ ত্রিপুরার জনসাধারণ উন্নতি চেয়েছিল, আর তাই ২০১৮ সালে তাঁকে নির্বাচনে জয়ী করিয়েছে। এ কথা মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন। এবং বলেন ক্রমে ক্রমে যে রাজ্য অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রগতি বিগত সরকারের বছরেই হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কাজ করলে একটি রাজ্যের উন্নতি হতে খুব বেশি সময় লাগে না।
তিনি আরো বলেন, রাজ্য প্রশাসন মহিলাদের সুরক্ষার দিকে কড়া নজর রেখে চলছে। কারণ মহিলারা এখন স্বাধীন, মুক্ত। তাঁরা চাকুরি করছেন, সংসারও চালাচ্ছেন একইসঙ্গে। রাস্তা-ঘাটে চলাফেরার সময় তাঁদের যেন কোন রকম অসভ্যতার সম্মুখীন হতে না হয়, সেদিকে রাজ্য সরকার কঠোর দৃষ্টিপাত করবে।
এভাবেই আধুনিক, স্বচ্ছ মানসিকতা নিয়ে একটি রাজ্য, একটি দেশ বিশ্ব নিজের স্থান তৈরি করে নেয়।