আগরতলা: গাঁজার কারবারের শেষ নেই ত্রিপুরায় (tripura)। এত কড়াকড়ি, এত কিছু এর মাঝেও এসবের খবর আছেই। আবারো ত্রিপুরা (tripura) থেকে বিহারে (bihar) যাত্রী সেজে গাঁজা পাচারের সময় অসম-ত্রিপুরা (assam-tripura) সীমান্ত’র কাঁঠালতলী পুলিশের হাতে আটক গাঁজাসহ চার পাচারকারী।
এখন পাচারকারীরা চুরাইবাড়ি হয়ে আসাম আগরতলা (agartala) জাতীয় সড়কটি ব্যবহার না করে ঝেরঝেরি কাঁঠালতলী বিকল্প সড়কটিকে ব্যবহার করছে। পরপর বেশ কয়েকবার কাঁঠালতলী পুলিশের হাতে ধরা পরলো যাত্রী সেজে যাওয়া গাঁজা পাচারকারীরা।
তবে এদিন গাড়ির চালকের কারণে গাঁজাগুলি আটক করতে সক্ষম হয়। কয়েক জন যাত্রীদের অনেকগুলি ব্যাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় চালক কাঁঠালতলী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই ব্যাগগুলো তল্লাশি করতেই আটটি ব্যাগের থাকা ৭৩কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
পাচারকারীরা জানায় ত্রিপুরা (tripura) রাজ্যের খোয়াই জেলার (khowai) তেলিয়ামুড়া থেকে এই গাঁজার প্যাকেটগুলো নিয়ে আসছিল বিহার যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আটক গাঁজা গুলোর কালোবাজারি মূল্য ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বলে জানান কাঁঠালতলী থানার ইনচার্জ।
ধৃত চার পাচারকারীর নাম মোঃ বেজাল মোঃ মাজরুল পবন কুমার যাদব এবং সানজ কুমার। ধৃত চারজনই বিহারের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে কাঁঠালতলী পুলিশ এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে। তবে পুলিশি ব্যাপক ধরপাকড়ের পরও পাচারকারীদের বাণিজ্য থেমে নেই।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেও উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা। আগরতলার (agartala) প্রতাপগড় (pratapgarh) এলাকায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮২০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট। আটক ব্যক্তির নাম ভূপেন চক্রবর্তী। প্রতাপগড় (pratapgarh) এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতো ভূপেন।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে অভিযুক্তকে। নেশা কারবারিদের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী আগরতলা (agartala)।
এ ব্যাপারে রাজ্যের (tripura) মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহাও (Manik Saha) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই গাজা, ব্রাউন সুগার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করছে পুলিশ।
এমনই এক অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাজধানী থেকে উদ্ধার করা হলো প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট।