নয়াদিল্লিঃ সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য আর মায়ের গর্ভের দরকার পড়বে না। কৃত্রিম গর্ভেই (Artificial Womb Factory) বড় হবে সন্তান। মায়ের শরীরের গন্ধ ছাড়াই জন্ম নেবে গবেষণাগারে। সে হবে নিখুঁত, নীরোগ। শরীরে কোনও খুঁত থাকবে না, রঙ-রূপ ইচ্ছামতো বদলে দিতে পারবেন মা-বাবা। কোনও অসুখ থাকবে না।
সে বাচ্চাকে লড়াই করে জন্ম নিতে হবে না, কৃত্রিম গর্ভ থেকে সরাসরি পৃথিবীর আলো দেখাবেন গবেষকরা। তার বুদ্ধিমত্তাকে শান দিয়ে প্রখর করা হবে। এমনই সুপার-বেবি চাইলে এগিয়ে যেতে হবে আরও কয়েকটা বছর।
নারীর গর্ভে শরীরের রক্ত-মাংস নিয়ে তিলে তিলে সন্তানকে গড়ে তোলার দিন হয়ত শেষ হবে ভবিষ্যতে। বাচ্চা তৈরির কারখানা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন ইয়েমেনের বিজ্ঞানী তথা মলিকিউলার বায়োটেকনোলজিস্ট হাশেম আল-ঘাইলি। কারখানা বলার কারণ হল এমন এক গবেষণাগার তৈরির পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানী যেখানে একই সঙ্গে হাজার হাজার সন্তানের জন্ম হবে। কৃত্রিম গর্ভে বড় করা হবে ভ্রূণকে। একসঙ্গে ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হবে ল্যাবরেটরিতে। সবটাই কৃত্রিম উপায়ে। মাতৃগর্ভের দরকার পড়বে না, মাকে প্রসব যন্ত্রণাও ভোগ করতে হবে না (Artificial Womb Factory)।
কথাগুলো সায়েন্স ফিকশনের গল্প বলে মনে হলেও বিজ্ঞানী হাশেম আল-ঘাইলি এমনই দাবি করেছেন। সম্প্রতি এমনই একটি অ্যানিমেশন ভিডিও প্রকাশ করে হাশেম দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে এরকম গবেষণাগার তৈরি সম্ভব। তাঁর গবেষণাকেন্দ্র এক্টোলাইফ (ECTOLIFE) এমনই ল্যাবরেটরি তৈরির চেষ্টা করছে যেখানে কৃত্রিম গর্ভে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন মা-বাবারা। থ্রি-ডি টেকনোলজি ও রোবোটিক্সের যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (Artificial Intelligence) শান দিয়ে এমন অসাধ্য সাধন করা সম্ভব বলেই জানিয়েছেন হাশেম।