গুয়াহাটিঃ গবেষনায় (Research) দেখা গেছে যে তরুণ প্ৰজন্মের নারীরা তাদের Gen-X পূর্বসূরীদের মতো শরীরের লোম কামিয়ে নিতে চাইছেন না। এই ট্ৰেন্ডে এগিয়ে এসেছেন নামীদামী তারকা অনেকেই।
হাত-পা থেকে বাহুমূল, নারী শরীরের কোথায় কতটা লোম থাকবে, তা-ও কি সমাজ নির্দিষ্ট করে দেবে? এই প্ৰশ্ন বর্তমান একাংশ নারী সমাজ ভাবছেন। নারীর শরীরে রোম থাকলেই তা কামিয়ে ফেলতে হবে— এমন ধারণা আজও রয়ে গিয়েছে অনেকের মনে। সেই ধারণা ভাঙতেই এ বার এগিয়ে আসছেন বেশ কিছু তারকা। তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন বহু সাধারণ নারীও। ‘আমার যেমন বেণী তেমনই রবে কেশ কামাব না,’ কিছুটা এমন স্লোগানেই তাঁরা ভাঙতে চাইছেন প্রচলিত ধারণা।
পরিবর্তে, একটি তরুণ প্রজন্মের নারীরা (younger generation of women) শরীরের গোপন জায়গার লোম কামাতে গিয়ে বেদনাদায়ক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে অস্বীকার করছে যা তাদের ত্বককে বিরক্ত করে।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গের লোম না কামানোকে অনেকেই নারীমুক্তি আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবেই দেখছেন। যাঁরা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কারও কারও মতে, নারীর বাহুমূলে লোম (Hairy Armpit) দেখতে অভ্যস্ত না হওয়ার চোখ সচেতন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে মূলত দু’টি বিষয়। এক, সৌন্দর্যের চিরাচরিত ধারণা। আর অন্য দিকটি বিপণন। তারা বিপণন প্রচারাভিযানগুলি বাতিল করছে। যা নারীর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণ।
তারা এমন একটি বিশ্বাস ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করছে যা তাদের শেভ করা ফর্মগুলিকে অবাঞ্ছিত এবং আরও খারাপ, লজ্জাজনক বলে মনে করে।
গোপনাঙ্গের কেশ (Pubic area) কামিয়ে ফেলতে গিয়ে বিপদে পড়েন বহু নারীই। কখনও তৈরি হয় অবাঞ্ছিত ক্ষত, কখনও কোনও না কোনও গ্রন্থি ফুলে ওঠে। ত্বকে দেখা দিতে পারে ব্রণর সমস্যাও। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অঙ্গে ঘাম বা ময়লা জমা হলে বেড়ে যায় জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই বহু নারীই এখন রাজি হচ্ছেন না কেশ নির্মূল করতে। এই তালিকায় রয়েছেন হলিউডের মাইলি সাইরাস থেকে ম্যাডোনার মতো তারকারাও। দেহের কেশ নিয়ে সঙ্কোচ রাখতে রাজি নন তাঁরা। বাহুমূলের (Armpit) কেশের ছবিও তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে আবার হরমোনের সমস্যা থাকলে মুখের দাড়ি গোঁফও দেখা দিতে পারে নারীদের। অনেক নারী কামাতে রাজি নন সেই দাড়িও। বিদেশের পাশাপাশি ভারতেও বিভিন্ন সময়ে বহু নারী বাহুমূলের রোম না কামিয়ে হাতকাটা পোশাক পরে সৌন্দর্য সম্পর্কে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও বহু নারী দেহের রোম কামানো বা ওয়্যাক্স করার বিরোধিতা করছেন।