নয়াদিল্লিঃ যে দেশে (Woman) নারীকে মা দুর্গা, কালী রূপে পুজো করা হয়। সেই দেশেই (Woman) নারীকে সর্বসমক্ষে অপমানিত হতে হল। বংশ এগিয়ে নিয়ে যেতে পুত্ৰ সন্তান চাই! জনসমক্ষে নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য হলেন বছর ৩০এর নারী। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে জোর করে এমন কাজ করিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই (Woman) নারীর। জানা গিয়েছে, এক তান্ত্রিকের নির্দেশেই পুত্রসন্তান পাওয়ার আশায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই পরিবার। মহিলার স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ি এবং তান্ত্রিকের নামে পুলিশ স্টেশনে দায়ের হয়েছে মামলা। ঘটনাটি ঘটেছে (Pune) পুনেতে।
মহিলা policeকে জানিয়েছেন- ২০১৩ সালে তাঁদের বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। পণ এবং পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার দাবিতে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এমনকি বিয়েতে বাবার বাড়ির কাছ থেকে পাওয়া তাঁর সোনার গহনাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সই জাল করে পৈতৃক সম্পত্তি বন্ধক রেখে ৭৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। স্বামীর নামে এমন একাধিক (Torture) নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্ত্ৰী। তাতেও শেষ নেই, এবার তান্ত্ৰিকের কথা শুনে প্ৰকাশ্যে নগ্ন হয়ে স্নান!
মহিলার অভিযোগ করেছেন- এর আগেও পুত্রসন্তান পাওয়ার আশায় একাধিক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এবার মৌলানা বাবা জমাদার নামে এক তান্ত্রিকের কাছে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। সেই তান্ত্রিকের নির্দেশ ছিল, বিবস্ত্র অবস্থায় প্রকাশ্যে ঝরনার জলে স্নান করতে হবে মহিলাকে। তবেই নাকি নিশ্চিত হবে পুত্রসন্তানের জন্ম। তান্ত্রিকের সেই নির্দেশ মেনে মহিলাকে রায়গড় জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জনসমক্ষেই তাঁকে নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য করে পরিবার।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে police।