নয়াদিল্লিঃ সারা বিশ্বে বিভিন্ন কারণে বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মারণ ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই বিষয়টি নিয়ে যাতে আগে থাকতেই সতর্ক হওয়া যায়, তার জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) (World Health Organization)।
নাম, ‘ফাঙ্গাল প্রায়োরিটি প্যাথোজেন লিস্ট’ (এফপিপিএল) (list of priority fungal pathogens)। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের মধ্যে কোনগুলি কতটা বিপজ্জনক, মূলত তা চিহ্নিত করতেই এই প্রয়াস। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষণার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ছত্রাকগুলিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক্রিটিকাল’, ‘হাই’ ও ‘মিডিয়াম’। এই তিনটির মধ্যে ক্ৰিটিককাল গ্ৰুপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলে জানানো হয়েছে।
ক্রিটিকাল-তালিকার মধ্যে রয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস (Candida auris)। এই জীবাণুটির উপর ওষুধের প্রভাব একটা সীমা পর্যন্ত কাজ করে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ছত্রাকের আক্রমণে প্রাণ হারান বহু মানুষ। বিশেষ করে হাসপাতালগুলিতে এর প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত প্রবল। পাশাপাশি, এই তালিকায় আছে ক্রিপ্টোকোকাস নিওফরম্যানস, অ্যাসপারগিলাস ফিউমিগাটাস এবং ক্যান্ডিডা অ্যালবিকানস নামের ছত্রাক।
হাই- এই গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে ক্যান্ডিডা পরিবারের অন্যান্য ছত্রাক। তা ছাড়া, মিউকোরালেস গোষ্ঠীর ছত্রাকও এই তালিকাভুক্ত। এই মিউকোরালেস মিউকোরমাইকোসিস বা ‘কৃষ্ণ ছত্রাক’ সৃষ্টি করে। কোভিডকালে ভারতে যে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ দেখা গিয়েছিল, এটি সেই গোষ্ঠীরই।
মিডিয়াম- এই গোষ্ঠীটিতে রয়েছে কক্কাইডিয়োইডেস এসপিপি, ক্রিপ্টোকোকাস গাট্টি-সহ বেশ কয়েক ধরনের ছত্রাক।
যদিও আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে বেশিরভাগ ছত্রাক বিপজ্জনক (একটি ছোট সংখ্যালঘু ভোজ্য হওয়ার সাথে), দেখা গেছে যে বেশিরভাগ ছত্রাকই মানুষকে প্রভাবিত করে না। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে যে বর্ণিত ১ লক্ষ ৫০ হাজার ছত্রাকের প্রজাতির মধ্যে মাত্র ২০০টি মানুষের জন্য সংক্রামক।
যে ছত্রাকগুলি সংক্রামক সেগুলি প্রায়শই সুবিধাবাদী প্যাথোজেন – যার অর্থ আমরা তাদের সাথে বা কাছাকাছি থাকি, তবে তারা কেবলমাত্র এমন লোকদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।