গুয়াহাটিঃ অস্তিত্বের সংকটে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পাহাড়ি শহর যোশীমঠ (Joshimath)। এলাকার প্ৰায় ৭০০র বেশি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। সেখানে কত শত মানুষ সারা জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শখের বাড়ি তৈরি করেছেন, এখন তাঁদের চোখের সামনে সেগুলিতে ফাটল ধরছে। এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া হয়েছেন প্ৰায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। পর্যটকদের (Tourist) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে(Safe place)। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী(PM Narendra Modi)। প্ৰশাসনের তরফে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যত শীঘ্ৰ সম্ভব এলাকায় খালি করে দেওয়ার জন্য।
স্থানীয় লোকজন ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সকলেই ভগবানের কাছে প্ৰার্থনা এই বিপদ থেকে শীঘ্ৰই তাঁরা পরিত্ৰাণ পেয়ে যাক।
মঙ্গলবার যোশীমঠ (Joshimath) নিয়ে জরুরি শুনানির দাবি খারিজ করে দেয় সুপ্ৰিম কোর্ট(Supreme Court)। স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন এই পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। যোশীমঠে(Joshimath) কেন এরকম বিপর্যয় ঘটল, তবে কি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) অন্যান্য এলাকাগুলিও বিপদের মুখে? সেই প্ৰশ্নই ভাবেচ্ছে স্থানীয় এবং আশেপাশের মানুষদের। ঘটনা পর্যবেক্ষণে এলাকায় হাজির হয়েছে কেন্দ্ৰীয় দল। তৈরি করা হয়েছে ৭ টি সংস্থার বিশেষজ্ঞদেরকে (Experts team) নিয়ে কেন্দ্ৰীয় কমিটি।
এদিকে সেখানে ‘ডুবন্ত’ জনপদ যোশীমঠে এখনও খড়কুটো আগলে ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন একাংশ। তাঁদের আশা ‘ডুবন্ত’ পূণ্যভূমিতে ক্ষতিপূরণের ‘লাইফ বোট’ দেবে সরকার। সেখানে পাহাড়ের গায়ে ঘেষা পাঁচ তলা হোটেল। একসময় সেখানে তীর্থযাত্ৰীদের ভিড় লেগে থাকতো। এখন বিপর্যয়ের সময় ট্যুরিস্টরা সেখানে ঘুরতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। হোটেলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। চিড় ধরেছে হোটেল-লাগোয়া রাস্তাতে। পাশেই খাদ। দেখে মনে হয় যেন যে কোনও মুহূর্তে গড়িয়ে খাদে নেমে যাবে রাস্তা সমেত হোটেল। যোশীমঠ বাঁচাতে যে সমস্ত বাড়ি এবং হোটেলকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সেগুলির মধ্যে রয়েছে মালারি ইন (Malari inn) নামের পাঁচ তলা হোটেলটিও। বিপদের মধ্যে রয়েছে মাউন্ট ভিউ (Mount View) নামের হোটেলও। সব মিলিয়ে সেখানে একটা অশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।