নয়াদিল্লিঃ এবার ডিসেম্বরে বেকারত্বের (Unemployment) সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ল। গত ১৬ মাসে দেশে সর্বোচ্চ বেকারত্বের সংখ্যা ৮.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ তথা CMIE এই নতুন তথ্য প্ৰকাশ করেছে।
দেখা গেছে নভেম্বরে এই হার ছিল ৮ শতাংশে। একমাসেই তা ০.৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এরমধ্যে শহরে বেকারত্বের হার ১০.০৯ শতাংশ। গ্ৰামাঞ্চলে ৭.৪৪ শতাংশ। নভেম্বরে এই হার চিল যথাক্ৰমে ৮.৯৬ শতাংশ ও ৭.৫৫ শতাংশ।
বেকারত্ব(Unemployment) এবং মুদ্রাস্ফীতি(Inflation) কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ। নভেম্বর মাসে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (NSO) দ্বারা প্রকাশিত সর্বশেষ পর্যায়ক্রমিক শ্রম বাহিনী সমীক্ষা (PLFS) অনুসারে, ভারতের শহুরে বেকারত্বের হার ২০২২-২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের টানা পঞ্চম ত্রৈমাসিকে ৭.২ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেকারত্বের গ্ৰাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় আশঙ্কার কিছু দেখছেন না CMIEর ম্যানেজিং ডিরেক্টর Mahesh Vyas। তিনি সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেছেন- ‘‘বেকারত্বের হার যাই হোক, বিষয়টা ততটা খারাপ নয় কিন্তু। একে তো শ্ৰমিকের অংশগ্ৰহণের হার বেড়েছে। তার উপর কর্মসংস্থানের হার ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.১ শতাংশে। যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ধরলে সর্বোচ্চ।’’
উল্লেখ্য যে করোনার প্ৰথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেকারত্বের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে গোটা দেশ । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) প্ৰাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) এই নিয়ে বলেছিলেন- দেশে বেকারত্বের হার বেশি থাকলে তার সুযোগ নেবে ‘উদ্যমী’ রাজনীতিবিদরা। তাঁরা কর্মসংস্থানের মতো প্ৰকৃত সমস্যা থেকে মুখ ঘুরিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করবে।