নয়াদিল্লিঃ গুজরাটের নৃশংস গোধরা কাণ্ড সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা BBCর প্ৰস্তুত করা তথ্যচিত্ৰে (Documentary) বর্তমান প্ৰধানমন্ত্ৰী তথা সে সময়ের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী প্ৰত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তথ্যচিত্ৰকে কেন্দ্ৰ করে দেশের রাজনীতিতে যথেষ্ট সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। BBCর এই বিতর্কিত ডকুমেন্টারি নিয়ে এবার আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র। ইউটিউব থেকে তো বটেই টুইটার থেকেও ওই ডকুমেন্টারি সম্পর্কিত যাবতীয় টুইট ডিলিট করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (IT Ministry)। তথ্যচিত্ৰটিকে নিয়ে সমালোচনার মাঝেই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্ৰায়েন (Trinamool MP Derek O’Brien) উঠিয়েছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ।
ডেরেকের অভিযোগ, BBCর এই তথ্যচিত্ৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর (PM Narendra Modi) সংখ্যালঘুদের প্ৰতি থাকা অবস্থানকে তুলে ধরেছে। তাঁর একটি টুইটও ডিলিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার একপ্রকার সেন্সরশিপ চালাচ্ছে। BBCর ওই ১ ঘণ্টার ডকু সিরিজে বলা ছিল, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের কতটা ঘৃণা করেন।
কেন্দ্রের এই টুইট ব্লক করার নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছে Congressও। তাঁদেরও দাবি মোদি সরকার সেন্সরশিপ(Censorship) চালাচ্ছে। মোদি যদি মুসলিম বিরোধী নাই হবেন, তাহলে কেন বাজপেয়ীকে গুজরাটে (Gujarat) গিয়ে ‘রাজধর্ম’ মনে করাতে হয়েছিল? টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।
উল্লেখ্য যে, বিবিসি ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরা হিংসাত্মক কাণ্ডের ওপর দুটি তথ্যচিত্ৰ নির্মাণ করেছে। এই তথ্যচিত্ৰটিতে ব্ৰিটিশ সংবাদ সংস্থাটি গোধরা হিংসাত্মক কাণ্ডে বর্তমানের প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী প্ৰত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, গুরুতর বিস্ফোরক অভিযোগ উঠিয়েছে।
গোধরা সংঘর্ষের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমান সম্প্ৰদায়ের লোকদের টার্গেট করা হয়েছিল। এই সংঘর্ষ রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দেখানো হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই সংঘর্ষে জড়িত রয়েছে বলে তথ্যচিত্ৰটিতে দেখানো হয়েছে।