এই প্রথমবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল ‘ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস (বিবিএফএ)’ এর আসর। সোমবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী মিলনায়তনে শুরু হয় দুই বাংলার চলচ্চিত্রের এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
রাজনীতির খেলা তো আর মানুষের আবেগকে ছিনিয়ে নিতে পারে না। এদিন সারা বিশ্ব ফের আরো একবার প্রত্যক্ষ করল এপার-ওপার বাংলার হৃদয়ের টান কতটা! কাঁটাতার অথবা কিছু লোকের নোংরামো কখনোই দুই বাংলার অন্তরের অন্তরঙ্গতা কেড়ে নিতে পারবে না।
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের চোখে বাংলাদেশের অপরূপ বর্ণনা একটু শুনবো। তিনি বলছেনঃ
এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ ।আমরা বাংলায় কথা বলি প্রায় ২২ কোটি মানুষ।
বাংলাদেশ আমার অনেক আপন জায়গা।
অরিন্দম শীল বলছেনঃ
“আসল বাংলাদেশ কিন্তু ঢাকার বাইরে। সেই বাংলাদেশটা আমাকে বড্ড টানে। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই ঘোরা হয়েছে আমার। একটা সময় তো একসঙ্গে ছিলাম আমরা। ভৌগোলিক সীমারেখা তো অনেক হিসাবের অদল-বদল করে দেয়; আবার কিন্তু অনেক কিছুর করে না। যেটা করে না সেটা সংস্কৃতির। যেটা করে না সেটা বোধ এবং সেই বোধটা বোধহয় একে অপরের প্রতি আমাদের আছে। বাংলাদেশের প্রতি আমার সেই সফট কর্নারটা এখনো আছে।”
বিখ্যাত পরিচালক এবং অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলি ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর নস্টালজিয়াঃ
“বাংলাদেশ আমার প্রিয় জায়গা। আমার বাবার জন্ম এ দেশের কুমিল্লায়। কাজেই এটা আমারও দেশ। কিন্তু আমার বিসর্জন ও বিজয়া ছবি দুটিতেই বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর আবহকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার দুই বাংলার মিলন দেখার মতো ছিল।

# চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্যে বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম এবং ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
# সেরা চলচ্চিত্রে পুরস্কারটি লাভ করেছে বাংলাদেশের ‘দেবী’ এবং ভারতের ‘নগর কীর্তন’।
# জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার পেল বাংলাদেশের ’পাসওয়ার্ড’ ও ভারতের বোমকেশ গোত্র।
# জনপ্রিয় নায়িকা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও বাংলাদেশের জয়া আহসান।
# অনুষ্ঠানে সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের ফেরা্রি ফরহাদ এবং ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
# সেরা সিনেমাটোগ্রাফারের পুরস্কারটি জয় করেছেন বাংলাদেশের কামরুল হাসান খসরু ও ভারতের সৃজিত মুখার্জি।