নয়াদিল্লিঃ Nobel Prize Winner 2022: কোয়ান্টাম ফিজিক্সে (Quantam Physics) অনবদ্য কাজের জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন একসঙ্গে তিনজন বিজ্ঞানী। ফরাসি পদার্থবিদ অ্যালেন অ্যাসপেক্ট (Alain Aspect John), মার্কিন জন এফ ক্লজার (John F Clauser) এবং অস্ট্রিয়ান অ্যান্টন জেলিঙ্গার (Anton Zeilinge) একযোগে এই সম্মানের অধিকারী হয়েছেন। মঙ্গলবার স্টকহোমের ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট থেকে এই তিন বিজেতার নাম ঘোষণা করা হয়।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস (the Royal Swedish Academy of Sciences) ৪ অক্টোবর অর্থআৎ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে কাজ করার জন্য ২০২২ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন এফ. ক্লাজার এবং অ্যান্টন জেইলিংগারকে দেওয়া হচ্ছে।
কোয়ান্টাম স্টেট ম্যানেজ করা এবং পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে তাঁদের গবেষণা সাহায্য করবে। কোয়ান্টাম টেকনোলজিকে আরও সহজতরভাবে প্রয়োগ করা যাবে এই গবেষণার সাহায্যে। কোয়ান্টাম কমপিউটার (Quantam Computer), কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক (Quantam Network), কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের (Quantam Communication) ক্ষেত্রে এ এক যুগান্তকারী গবেষণা। ফলে অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লজার এবং অ্যান্টন জেলিঙ্গারকে এ বছরের পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে (Nobel Prize In Physics) সম্মানিত করা হল।
“আলোচিত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল বৈষম্যের লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানের অগ্রগামী” জন্য চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবারই চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জিতেছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ সান্তে পেবো (Svante Paabo)। মানবজাতির বিবর্তন নিয়ে তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তাঁকে এই শ্রেষ্ঠ সম্মানে ভূষিত করা হয়। বিলুপ্ত মানবদের নিয়ে তাঁর অবিষ্কার বিজ্ঞানকে নয়া দিশা দেখিয়েছে। সোমবার থেকেই শুরু হল চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান। সান্তে পেবোর গবেষণা উঠে এসেছে কী ভাবে প্রাচীণ যুগের মানুষ, হোমিনিনস থেকে হোমো সেপিয়েন্সের বিবর্তন ঘটে। কী ভাবে মানুষের শরীরে জিনের বিবর্তন হয়, বর্তমান যুগের সঙ্গে সেই জিনের কী সম্পর্ক, এই সমস্তটাই আবিষ্কার করেছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর গবেষণায় ধরা পড়েছে একজন ব্যক্তি কী ভাবে শরীরের ইনফেকশনে প্রতিক্রিয়া দেয়।