এ মুহূর্তে জানা যাচ্ছে একটি ব্রেকিং নিউজ। নির্ভয়া গ্যাংরেপ কান্ডে দোষী মুকেশের শেষ চাল ব্যাহত হয়ে গেছে।
মুকেশ সিংয়ের নতুন করে রায় সংশোধনী দায়ের করার আর্জি আইনজীবী অরুণ মিশ্র এবং আইনজীবী এমআর শাহ পিঠ আজ সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন।
মুকেশ সিং আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে যে তাকে যেন ফের কিউরিটিভ পিটিশন এবং দয়া ভিক্ষার আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু মহামান্য আদালত মুকেশের আর্জি খারিজ করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ‘সব পথ শেষ।’ এবার হয়তো দেশবাসী এবং নির্যাতিত নির্ভয়ার মা-বাবা স্বস্তি পেতে চলেছেন! এমন আশা করা যায়।
কিন্তু ফের জানা যাচ্ছে, ৪ ধর্ষক আন্তঃরাষ্ট্রীয় আদালতের কাছে গেছে। ফের নতুন নাটক শুরু করতে চলেছে তারা।
সব ধর্ষণের নৃশংসতাকে ছাপিয়ে যাওয়া দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল আগামি ২০ মার্চ সকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে। বাকি আর মাত্র ৩ দিন।
উল্লেখ্য, এদিকে ৪ ধর্ষকের পরিবার নয়া নাটক জুড়ে দিতে চেয়েছিল। রবিবার নিষ্কৃতি মৃত্যু বা স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ চার দোষীর পরিবারের সদস্যরা।
আশ্চর্যজনক আর্জি তাঁদের! জানাচ্ছেন, “ওই ৪ জনকে ক্ষমা না করলে, আমাদেরও স্বেচ্ছামৃত্যু দেওয়া হোক।”
ওয়াকিবহাল মহলের জোর দাবি, ফের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবে বিশ্বাস রাখা আইনজীবী এ পি সিং ফাঁসির আসামীকে বাঁচানোর জন্যে উঠে পড়ে লেগেছেন। যিনি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মেয়ের মৃত্যুশোককে আগলে রেখে ধর্ষকের সত্য বিচারের আশায় বুক বেঁধে রেখেছেন, সেই আশাদেবীকে উক্ত আইনজীবী প্রায় হুমকির সুরে জানিয়েছিলেন, দোষীর ফাঁসি হবে না কোনদিন!
ঘটনায় তীব্র ধিক্কার পড়েছে সারা ভারতে।
উল্লেখ্য যে, আগামি ২০ মার্চ হচ্ছে ৪র্থ ফাঁসির তারিখ। এর আগে তিন-তিনবার ফাঁসির তারিখ নির্দিষ্ট হয়েও টালনবাহানায় পিছিয়ে গেছে।
২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনির ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা গেছে, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট নয়া পরোয়ানা জারি করার পরই রাষ্ট্রপতির কাছে এমন চিঠি দোষীর পরিবারের সদস্যরা।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, “রাষ্ট্রপতির কাছে একান্ত আবেদন আমাদের নিষ্কৃতি মৃত্যুর দাবি মেনে নেওয়া হোক। নির্ভয়া ঘটনার মতো এমন অপরাধ যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এবং আদালতকে একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলাতে না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এমন কোনও অপরাধ নেই যা ক্ষমা করা যায় না। আমাদের দেশে মহাপাপীদেরও ক্ষমা করা হচ্ছে। প্রতিশোধ নেওয়া শক্তি ও ন্যায়ের পরিচয় নয়। আসল শক্তি হল ক্ষমা।”