নয়াদিল্লিঃ দিল্লির এক স্কুল ছাত্রী স্কুল যাওয়া পথে অ্যাসিড হামলার শিকার হয়। বুধবার কিশোরীর পশ্চিম দিল্লির বাড়ির সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। ২ জন লোক অ্যাসিড দিয়ে আক্রমণ করেছিল তার মুখে। স্কুল ছাত্ৰীর চেহারার ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
চলন্ত বাইক থেকে কিশোরীর মুখে তরলজাতীয় কিছু একটা ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। যন্ত্ৰণায় কাতরাতে কাতরাতে সেখানেই বসে পড়ে কিশোরী। স্থানীয়দের চোখে পরলে তারই ছুটে এসে মুখ ধুইয়ে দেন।
চিকিত্সকরা নিরন্তর পর্বেক্ষণে রেখেছেন স্কুল ছাত্ৰীকে। মুখের পোড়া আঘাতগুলি কতটা গভীর তা পর্যবেক্ষণ করছেন। অ্যাসিড হামলায় আঘাতের চেহারায় কতটা ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে।
ঘটনার পরপরই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আরও ২জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্ৰকাশ্যে এসেছে। রাস্তার দোকান থেকে নয়, রীতিমতো অর্ডার করে ফ্লিপকার্ট (Flipcart) থেকে অ্যাসিড কিনেছিল অভিযুক্তরা।
বুধবারের অ্যাসিড হামলার পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাতে। সেই সূত্ৰ ধরেই পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত। জানা গেছে এদের সকলেরই বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। ধরা পরার পর ধৃতরা বার বার তাদের বয়ান বদল করছিল।
মেয়েটির পরিবার চিকিত্সকদের জানিয়েছেন- তার চোখ জখম হয়েছে। তারপর একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞকেও ডাকা হয়েছিল।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম সচিন অরোরা (Sachin Arora) বলে জানা গেছে। কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। মাস তিনেক আগে সম্পর্ক ভেঙে গেলে প্ৰতিশোধ নিতে এই কাণ্ড করে বসে। তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছে হর্ষিত এবং বিরেন্দ্ৰ নামের দুই বন্ধু। ঘটনাটি বর্তমানে পুলিশের বিচারাধীন।