গুয়াহাটিঃ বাড়ির পরিচারিকার উপরে অকথ্য অত্যাচার চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে Jharkhandএর বিজেপি নেত্রী (Jharkhand BJP Leader) সীমা পাত্র। বিজেপি নেত্ৰীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সামান্য কাজে ভুল হলে তাঁকে মারধর করতেন বিজেপি নেত্রী। পরিচারিকার দোষ কি তা সে নিজেও জানে না।
নির্যাতিতা পরিচারিকা সুনীতা জানিয়েছে, পান থেকে চুন খসলেই অর্থাৎ কাজে ভুল হলেই তাঁকে মারধর করা হত। Hospitalএর বিছানায় শুয়ে সে আরও জানিয়েছে,- তার কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু যা অভিযোগ উঠেছে, সবটাই সত্যি। কাজ করতে গিয়ে কোনও ভুল হলেই তাকে মারধর করতেন ম্যাডাম। হাসপাতালে সুনীতাকে দেখতে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতা বাবুরাম মান্ডি।
তিনি বলেছেন, “নির্দয় ভাবে মারধর করা হত পরিচারিকাকে। কঠোর শাস্তি দিতে হবে ওই নেত্রীকে। সীমাকে গ্রেপ্তার করে ভালোই হয়েছে। দল থেকেও তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিজেপি মহিলা মোর্চার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভের সদস্য ছিলেন এই সীমা পাত্র।
জানা গিয়েছে, পরিচারিকাকে নির্যাতনের ভিডিও শেয়ার করেছেন BJP নেত্ৰী সীমা পাত্ৰের ছেলে আয়ুষ্মান। সেই ‘অপরাধে’ ছেলেকে মানসিক রোগী সাজিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই BJP নেত্ৰী সীমা পাত্ৰের বাড়ির পরিচারিকার নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। নির্যাতনের ভিডিওটি রেকর্ড করেন সীমার ছেলে আয়ুষ্মান। তারপরে এক বন্ধুকে শেয়ার করেছিলেন ভিডিওটি। বিবেক নামে ওই বন্ধু ভিডিওটি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সেই কথা জানতে পেরেই ছেলেকে রাঁচির মানসিক হাসপাতালে ভরতি করে দেন সীমা।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, ছেলে অসুস্থ বলেই তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিনা কারণেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ছেলেকে।