গুয়াহাটিঃ Durga Puja 2022 পুজোর সময় কেউ আর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। সকলেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, আনন্দ, খাওয়া দাওয়া করতে ভালোবাসে। বাঁধা গণ্ডীর মধ্যে থাকতে কেউ ভালোবাসে না। আর ঠাকুর দেখতে প্যাণ্ডেল হোপিং করতে বেড়িয়ে ফুচকা, দইবড়া না খেলে মনটা ঠিক ভরে ওঠে না। আবার রাস্তায় ভাজাভুজি খেয়ে পেট খারাপ করলেও পুজোর আনন্দ মাটি।
তাই পুজোর সময় পেট ভালো রাখতে রইলো কিছু পুষ্টিকর Street Foodএর হদিশ। ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে এগুলো অবশ্যই ট্রাই করা যায়। যেমন- ভুট্টা, ভারতের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্ট্রিট ফুড এটি। লো ক্যালরি, লো ফ্যাট খাবার তো বটেই, হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ভুট্টা। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ হার্টের জন্যও ভাল। সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খেলে খিদেও মিটবে, শরীরের ক্ষতিও হবে না।
ভেলপুরি, ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
ভেলপুরি, মুরি, বাদাম, পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেলপুরি। এতে ক্যালোরি কম থাকে। বিভিন্ন ধরনের সবজি থাকে, পেটও ভরে আর এটি অত্যন্ত পুষ্টিকরও।গমের তৈরি মোমো, তেলে ভাজা নয়, বরং স্টিম মোমো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু ময়দার তৈরি মোমো মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। উল্টোদিকে গমের তৈরি মোমো খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। দইবড়া, এর মূল উপাদান হল টক দই। যা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। খিদে পেলে এক প্লেট দই বড়া খেলেও মন্দ হয় না। পেট ঠাণ্ডা থাকে। খেতেও সসুস্বাদু। তবে এর মধ্যে পাপড় না মিশিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। ফ্ৰুট চাট (Fruit Chaat), সারা ভারতেই পাওয়া যায় ফ্রুট চাট। শশা, কলা, পেঁপে, তরমুজ জাতীয় ফলের চাট শরীরের পক্ষে খুব ভাল অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের কাজ করে। ওজন কমায়, এনার্জি জোগায়। তবে রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানগুলিতে কাটা ফল থেকে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই আগে থেকে কেটে রাখা ফলের চাট না খাওয়াই শ্ৰেয়। চোখের সামনে টাটকা কাটা দেওয়া ফলের চাট খাওয়াই ভালো। ছোলামাখা, সেদ্ধ বা কাঁচা ছোলার মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, লঙ্কা, তেঁতুলের রস (Tamarind) মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে অনেকক্ষণ বাইরে খোলা রাখা ছোলা না খাওয়াই উচিত। বরং টাটকা ছোলার সঙ্গে সবজি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।